আকবরশাহ থানা এলাকায় সংঘটিত গণধর্ষণের ঘটনা সংঘটনের ০৭ ঘণ্টার মধ্যে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্তদের সনাক্তপূর্বক গ্রেফতার।
২২ বৎসর বয়সে তরুণী।পরিবারের সাথে রাগ করে কুমিল্লা জেলা হতে চট্টগ্রামে আসে।পরবর্তীতে ভিকটিম কুমিল্লা ফেরত যাওয়ার চেষ্টা করলেও টাকা না থাকায় ট্রেন যোগে যেতে না পারায় রেললাইনের পাশ দিয়া পায়ে হেটে ৭ তারিখ সকাল ১১:৩০টার সময় সিএমপি’র আকবরশাহ থানাধীন শাপলা আবাসিক এলাকাস্থ এনআর স্টীল মিলস সংলগ্ন মীর আউলিয়া মাজারের উত্তর পার্শ্বে একটি ঘরের সামনে ক্ষুধার্ত ও ক্লান্ত অবস্থায় বসে থাকে|
তখন ০১ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি মেয়েটিকে তার বাড়ীতে তার পিতা-মাতার সাথে রাখবে এবং তাকে কাজ দিবে বলে।সেই সময় অপর ০২ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি সেইখানে আসে।তারপর ঐ ০৩ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি মেয়েটিকে সেখান থেকে পার্শ্ববর্তী পাহাড়ের পাদদেশে দেওয়ালে ঘেরা একটি নির্জন নির্মাণাধীন বাড়ীর ভিতরে নিয়ে তাকে মারধর করতো ও জোরপূর্বক আসামীরা একাধিকবার পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
সংবাদ পেয়ে আকবর শাহ থানা পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার পূর্বক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী ও ভিকটিমের বর্ণনা মতে আসামীদের শনাক্ত পূর্বক চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আরিফুল ইসলাম আরিফ(২৩)কে সিএমপির আকবরশাহ থানাধীন জঙ্গল লতিফপুর পাহাড়ি এলাকা থেকে,মোহাম্মদ নয়ন(২৯)কে সিএমপির আকবরশাহ থানাধীন পাকা রাস্তার মাথা এলাকা থেকে এবং আব্দুল লতিফ(২২)কে সিএমপির বন্দর থানাধীন পিসি রোড,নিমতলা এলাকায় হইতে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতার পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার কথা স্বীকার করে।নয়ন ও আরিফুল ইসলাম আরিফ গত বছর কোতোয়ালি থানার একই অপরাধ প্রক্রিয়ার ঘটনায় তথা অপহরণ,মুক্তিপণ আদায়,ধর্ষণের ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তার হয় এবং বর্তমানে জামিনে আছে।