কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী সিকদারপাড়া-হাজীপাড়া সড়কের উন্নয়ন কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
কাজ শেষ হতে না হতেই হাত দিয়ে টান দিলেই ওই সড়কের কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। বিটুমিন কম দেওয়া নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করায় উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং এমন অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
বহুল প্রতিক্ষিত সড়কের কাজে এই মান নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকার সাধারন মানুষ। এনিয়ে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানায় স্থানীয়রা।
উপজেলার খুটাখালী সিকদারপাড়া-হাজীপাড়া সড়ক স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের আওতাধীন কার্পেটিংয়ের কাজটির দায়িত্বে রয়েছেন চকরিয়ার একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্টান।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) চকরিয়া কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন অগ্রাধিকার-৩ প্রকল্পের আওতায় খুটাখালী হাফেজখানা টু হাজীপাড়া সড়কের দৈর্ঘ্য ৭৮০ মিটার ও প্রস্থ ৩ মিটার।
সড়কের কার্পেটিং কাজের নির্মাণ ব্যায় বরাদ্দ হয়েছে ৬৭ লাখ টাকা। প্রথম শ্রেনীর একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পেলেও মূলত সড়কটির নির্মাণ কাজে দায়িত্ব পালন করছেন কনক নামের একজন লোক।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কটির নির্মাণ কাজে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে। হান্তিরছড়া এলাকায় নামে মাত্র ইট বসিয়ে কোথাও ৭ ফুট বা ৮ ফুট করে রাস্তা তৈরী করা হয়েছে। ছড়াখালের পাশে নির্মিত এ সড়ক বর্ষা মৌসুমে ধ্বসে পড়ার আশংকা রয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, প্রভাবশালীদের আস্করায় ঠিকাদার নির্মাণ কাজে অনিয়ম করছেন। সড়ক নির্মাণ কাজে নজরদারি করে মানসম্মত কাজ করানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
তারা আরো জানান, সড়কের পাশের খালে যে গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে তাতেও কারচুপি করা হয়েছে। কোথাও আরসিসি ডালাই আবার কোথাও ইটের গাঁথুনি দিয়ে গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে।
তাদের অভিযোগ, ছড়াখাল সংলগ্ন হান্তির ছড়ায় রাস্তা উন্নয়নের নামে চলছে হরিলুট। যেখান বক্স করে শুরুতে বালি, ইটের কোয়া দেয়ার পর রোলার চালানোর কথা সেখানে কিছুই করা হয়নি। সড়কের কোথাও ৭ ফুট,কোথাও ৮ফুট। নেই পর্যাপ্ত গাইউওয়াল। মাটিযুক্ত বালি আর দুই নাম্বার ইটের খোয়া দিয়ে করা হয়েছে সড়ক উন্নয়ন কাজ।
ইতোমধ্যে সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। ৬৭ লাখ টাকার সড়কে নির্মাণ কাজে নিন্মমানের পাথর বিটুমিন ব্যবহার করা হয়। সেইসাথে সড়কের মাটির উপরেই ঢালা হয় বিটুমিন ও মিশ্রিত পাথর এমন অভিযোগ এলাকাবাসির।
তবে নিম্নমানের বিটুমিন, সুড়কিসহ অন্যান্য উপকরণ দিয়ে কার্পেটিং করায় কাজ শেষের ৩ দিনের মধ্যে ওই সড়কের কার্পেটিং উঠতে শুরু করে। পাশাপাশি রিটার্নিং দেওয়াল করে মাটি ভরাট না করায় পুরো সড়ক জুড়েই দেখা দেয় ফাটল। ফলে স্থানীয় লোকজনের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।