কাপ্তাই কেপিএম এর এমডির শুভংকরের ফাঁকি: লক্ষাধিক টাকা বেতন পেয়েও বাসা ভাড়া দেন মাত্র ৩৭২০ টাকা

0 ১৮১

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ তার বেতনের বেসিক ৭৪ হাজার ৪০০ টাকা,সর্বসাকুল্যে তিনি পান ১ লাখ ৬ হাজার ৯৮৫ টাকা। ৩৫% হারে তার বাসা ভাড়া হবার কথা ২৬ হাজার টাকার উপরে,অথচ তিনি বাসা ভাড়া দেন সরকারকে মাত্র ৩৭২০ টাকা।জাতীয় বেতন স্কেলের ২০১৫ এর সর্বশেষ গেজেট অনুযায়ী ২য় গ্রেডের একজন কর্মকর্তার ৩৫% বাসা ভাড়া পরিশোধ করার কথা থাকলে সম্পূর্ণ গাঁয়ের জোড়ে এমডি বাংলায় বসবাস করে তিনি প্রতি মাসে প্রতিষ্ঠানকে শুভংকরের ফাঁকি দিয়ে আসছেন। তিনি হলেন রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার বিসিআইসির শিল্প প্রতিষ্ঠান কর্নফুলি পেপার মিলস লিমিটেডের বির্তকিত এমডি ড:এম এম এ কাদের।

অথচ তাঁর প্রতিষ্ঠানের অনেক শ্রমিক কর্মচারী ৩য় এবং ৪র্থ গ্রেডের বাসায় বসবাস করে মাসে মাসে ৪ থেকে ৫৫০০ হাজার পর্যন্ত বাসা পরিশোধ করছে।এই সব বাসা গুলো অধিকাংশই ব্যবহারের অনুপযোগী,উপরন্ত পানি,বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের সংকটতো লেগে থাকে প্রায়ই।সময় মতো পরিশোধ বাসা ভাড়া করতে না পারলে মিল কর্তৃপক্ষ বিনা নোটিশে বাসার গ্যাস,বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেন। অথচ এই এমডির আর্শীবাদপুষ্ট অনেক কর্মকর্তা বাসা ভাড়া ফাঁকি দিয়ে ভালো মানের বাসায় বসবাস করে আসছের বছরের পর বছর।

মিলের অনেক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই প্রতিনিধিকে জানান,তাদেরকে বাগানে নিয়ে গিয়ে বাগান সৃজন এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কাজে নিয়োজিত করা হচ্ছে,অথচ তাদের কাজ হলো মিলের উৎপাদন তদারক করা এবং প্রশাসনিক কাজে সহায়তা করা।একজন কর্মকর্তা দিয়ে শ্রমিকের কাজ করা মানে তাদের পদটাকে অবমূল্যায়ন করা।

মিলের অনেক পুরাতন শ্রমিক কর্মচারী ( চাকরিচ্যুতের ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, কেপিএম এর কাগজের সুনাম ছিলো দেশ বিদেশে। কিন্ত এই এমডি আসার পর হতে কাগজের মান কমে গেছে অনেক, তাই এনসিটিবি কর্তৃক কেপিএম হতে কাগজ কেনার সরকারি অর্ডার থাকলেও কাগজের গুনগত মান কম হওয়ায় সরকারি এই প্রতিষ্ঠান কেপিএম হতে আর কাগজ কিনতে চাইছেন না।

কেপিএম এর সিবিএ নেতৃবৃন্দ জানান,বিসিআইসির এই প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ৩০ হাজার মেট্রিকটন হলেও বর্তমানে বার্ষিক ৫ থেকে ৬ হাজার মেট্রিকটন কাগজ উৎপাদনের ফলে এটি একটি লোকসানে প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে।যদি দৈনিক ৪৫ থেকে ৫০ মেট্রিকটন কাগজ উৎপাদন হয় তাহলে এই মিলটির আর লোকসান গুনতে হবে না।তারা আরোও জানান,বর্তমানে যে যন্ত্রপাতি আছে তা দিয়ে দৈনিক ৭০ থেকে ৮০ মেট্রিকটন কাগজ উৎপাদন করা যেতো।তবে অনেক ক্ষেত্রে নিন্মমানের কাগজ উৎপাদনের ফলে এনসিটিবি সহ সরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান এই মিলটি হতে কাগজ কিনতে আগ্রহ হচ্ছে না বলে তারা জানান।

কেপিএম এর অবসর প্রাপ্ত অনেক কর্মকর্তা,কর্মচারী এবং শ্রমিকরা জানান,অবসর গ্রহন এর পর বছর পার হয়ে গেলেও তারা তাদের জমানো টাকা পেতে অনেক কষ্টের মধ্যে পড়েন,অথচ বিসিআইসি হতে সময় মতো বরাদ্দ আসলেও এই বির্তকিত এমডি তাদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা আটকে রাখেন অগ্যাত কারনে।এই বিষয়ে কেপিএম এর এমডি ড:এম এম এ কাদের এর বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে তার মুঠোফোন (০১৮২৭৭০৪৮৫০) এ একাধিক বার কল করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!