রিয়াদুল মামুন সোহাগঃ চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলায় যাওয়া আসার একমাত্র মাধ্যম নদীপথ।আর এই নদীপথ ছাড়া অন্য কোন মাধ্যম নেই সন্দ্বীপ আসা যাওয়ার।কুমিরা-গুপ্তছড়া ঘাট,বাঁশবাড়িয়া-কাছিয়াপাড় ঘাট,ফকিরহাট-গাছুয়া ঘাট,বাড়বকুণ্ড-বাউরিয়া ঘাট সহ আরো কয়েকটি যাতায়াত করার ঘাট রয়েছে যেগুলো ইজারা নিয়ে বহু বছর ধরে সন্দ্বীপ বাসীকে শোষণ করে আসছে।
অনেকগুলো ঘাট থাকলেও চলে শুধু ২/৩টা ঘাট তার মধ্যে রয়েছে কুমিরা-গুপ্তছড়া ঘাট,বাঁশবাড়িয়া-কাছিয়াপাড় ঘাট ও ফকিরহাট-গাছুয়া ঘাট।তার মধ্যে বেশির ভাগই কুমিরা-গুপ্তছড়া ঘাট দিয়ে চলাচল করে।কুমিরা-গুপ্তছড়া ঘাটের দুইদিকেই রাস্তা মোটামুটি ভালো যার জন্য এই ঘাটের চাহিদা বেশিই।
কুমিরা-গুপ্তছড়া ঘাট সিগনালের কারণে যদি এক ঘন্টা অথবা একদিনও বন্ধ থাকে সাথে সাথে শুরু হয়ে যায় বাঁশবাড়িয়া ঘাটের সরাসরি ডাকাতি।স্প্রীড বোডের ভাড়া অটোমেটিক ২৫০টাকা থেকে ৫০০টাকা অথবা তারও বেশি হয়ে যায়।তার সাথে আরো আছে নোংরা ভাষা।একদিকে ডাবল ভাড়া অন্য দিকে হয়রানি সব মিলিয়ে ডাকাতি করে যায় বাঁশবাড়িয়া ঘাটের ইজারাদার।তেমনি একটি দিন ছিলো গত পরশুদিন।
আবহাওয়া অফিস ৩নং সিগনাল দেওয়ার সাথে সাথে কুমিরা-গুপ্তছড়া ঘাট বন্ধ তাহলে কি সেই সিগনাল বাঁশবাড়িয়া-কাছিয়াপাড় ঘাটের জন্য ছিলো না?
অবৈধভাবে স্প্রীডবোড দিয়ে লোক পারাপার তো করছে তাও আবার ডাবল ভাড়ায়।টিকেট কিন্তু সাদা কাগজের টুকরোর মধ্যেই লিখা আছে ৫০০টাকা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,ছোট-বড় সবার কাছ থেকেই টিকেটের মূল্য নিচ্ছে ৫০০টাকা থেকে ১০০০টাকা পর্যন্ত।আর এই বিষয়ে বাঁশবাড়িয়া-কাছিয়াপাড় ঘাটের সন্দ্বীপ কুলের স্প্রীডবোড কেরানী রুবেলের কাছ থেকে জানতে চাইলে সে নানা রকম হুমকি দেয়।এক পর্যায়ে সংবাদকর্মীর পরিচয় দিলে সে বলে স্প্রীডবোড চট্টগ্রাম থেকে খালি আসে আর এখান থেকে যাত্রী উঠে তাই ডাবল ভাড়া নেয়।
একটু পরেই দেখা যায় ভিন্ন দৃশ্য যেমন স্প্রীডবোড খালি আসে না উল্টো সেখান থেকেও ডাবল ভাড়া নিয়েছে তারা।পুরা বিষয় টা নিয়ে রুবেলের সাথে কথা বললে সে কোন রকম উত্তর না দিয়ে যাত্রীদের গিয়ে বলে সাংবাদিক স্প্রীড বোড ছাড়তে নিষেধ করছে।
যাত্রীদের উল্টো বুঝিয়ে সাংবাদিকদের উপর দোষ চাপিয়ে দিয়ে সে জায়গা থেকে সরে যায়।যাত্রীরা সাংবাদিকের সাথে বিভিন্ন রকম খারাপ আচরণ করে বলে জানিয়েছেন।একপর্যায়ে সাংবাদিক যাত্রীদের বলেন আপনাদের টাকা আছে যখন আপনারা ডাবল দিয়ে চলে যান।
এইসব বিষয় নিয়ে সন্দ্বীপের প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সাধারণ মানুষ।সুযোগ ফেলেই কেন বাঁশবাড়িয়া-কাছিয়াপাড় ঘাটে ডাবল ভাড়া নিয়ে নেয় সেই বিষয়ে প্রশাসনের নজরদারি করা উচিত।তাছাড়া সিগনালের মধ্যে কুমিরা-গুপ্তছড়া ঘাট বন্ধ হলে বাঁশবাড়িয়া ঘাট কি করে চালু রাখে,কার ইশারায় চালু রাখে,কেনইবা চালু রাখে,তাদের উদ্দেশ্য কি এইসব বিষয় নিয়ে সচেতন মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।