সেলিম চৌধুরীঃ চট্টগ্রামে পটিয়ায় শশুর বাড়িতে জামাই খুনের অভিযোগ নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা কি সঠিক কেউ বলতে পারছেনা। সুএে জানায়ায়,পটিয়ায় উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নে দক্ষিণ হরিণখাইন এলাকায় শশুর বাড়িতে বেড়াতে এসে মো. সাইফুল ইসলাম(৩৭), নামের এক প্রবাসীকে স্ত্রী ও শাশুড়ি মিলে খুন করার অভিযোগ উঠেছে।পটিয়া থানা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্ত্রী হারিছা আকতার ও শাশুড়ি মরিয়ম বেগমকে আটক করছেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান উপজেলার পূর্ব বিনিনিহারা এলাকার মোবারক আলী মুন্সির বাড়ি এলাকার আবুল কাশেমের পুত্র সাইফুল ইসলামের সাথে দক্ষিণ হরিণখাইন আলীম উদ্দীন সওদাগর বাড়ি এলাকার মোহাম্মদ ফরিদের মেয়ে হারিছা আক্তারের সাথে বিয়ে হয়। প্রবাসী মো. সাইফুল ইসলাম ৬ মাস পূর্বে সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন। করোনা ভাইরাসের কারণে ফের সৌদি আরব যেতে না পারায় সংসারের মধ্যে আর্থিক সমস্যায় দেখা দেয়। এ নিয়ে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়েছিল।রাগ করে তার স্ত্রী হারিছা আকতার স্বামীকে না জানিয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসেন।
গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় শ্বশুর বাড়িতে গেলে কথা কাটাকাটির জের ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এসময় তার শাশুড়ি মরিয়ম বেগমও মারধর করেন। প্রবাসী সাইফুল ইসলাম শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পান। খবর পেয়ে সাইফুল ইসলামের পরিবারের লোকজন চমেক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
তার শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে শুক্রবার রাতে ভর্তি করা হলে শনিবার সকালে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করা হয় বলে জানাব।তবে হারিজা আকতারে নিকট আত্নীয় পটিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের মহিলা সম্পাদক ও চট্টগ্রাম জেলা বঙ্গবন্ধু মহিলা পরিষদের জীবন আরা বেগম রুবি সহ অনেকে জানান, ভিন্ন কথা প্রায় সময় সাইফুল ইসলাম যৌতুক দাবি করে আসছিল এতে তার শশুর সাইফুলকে এক লক্ষ টাকা প্রদান করে। কিন্তু সাইফুল আরোও যৌতুক দাবি করে আসছে বৃহস্পতিবার সে শশুর বাড়িতে সে নিজে গিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে অভিমান, রাগ, ক্ষোব থেকে নিজে ছুরি আঘাতে হন।
এতে সামান্য আঘাতে মারা যেতে পারে না সে ষ্টোক করে মারা য়ায় বলে দাবি তার জীবন আরা বেগম রুবির ।এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ বোরহান উদ্দীন বলেন, ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে হত্যাকান্ড বলে মনে হচ্ছে, আটকৃতদেরকে জিজ্ঞাবাসাবাদ চলছে। লাশের ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।