মনির উদ্দিন মুন্নাঃ খাগড়াছড়ি কাঠ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর নির্বাচন আগামী ২৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এরইমধ্যে বিভিন্ন পদে প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন অনেকেই। প্রায় দেড়শ সদস্যের সম্পদশালী এই সংগঠনের সভাপতি এবং সা: সম্পাদকসহ অন্যান্য পদের জয়ী হওয়ার জন্য বরাবরের মতো এবারও প্রার্থী হয়েছেন দুই ডজন।সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি তপন কান্তি দে’র সাথে প্রার্থীতায় শামিল হয়েছেন দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি হাজী মো: কাশেম।একই রাজনৈতিক ঘরানার এই দুই নেতার একই পদে লড়ার কারণে সরকারসমর্থক ভোটাররা কিছুটা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন। তবে এই সংগঠনে বিএনপি ঘরানার ভোট অনেক বেশি হওয়ায় জয়-পরাজয়ের ক্ষেত্রেও সেই ভোটাররাই সব সময় ফ্রাক্টও হয়ে থাকেন।তবে সমিতির সদস্যরা বলছেন ভোটের আগে প্রার্থীরা সততা ও নিরপেক্ষতার সাথে সমিতি পরিচালনার কথা বললেও ভোটের পরে আর সেসব কথা মনে রাখেন না।সমিতির সহ-সভাপতি পদপ্রার্থীরা হলেন, মোঃ আমিন শরীফ, দ্বীন মোহাম্মদ, মিন্টু বিকাশ চাকমা ও লিটন খান।সাধারণ সম্পাদক পদে ৬ জন মনোনয়ন দাখিল করেছেন। তাঁরা হলেন, মোঃ মনির হোসেন, মোঃ মজিবুর রহমান, মোঃ আবু কালাম ভুইয়া, মোঃ কামাল হোসেন, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ও মোঃ শামসুল হুদা।সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন মোঃ জসিম উদ্দিন ও মোঃ বখতিয়ার উদ্দীন চৌধুরী। দপ্তর সম্পাদক পদে মোঃ নুরনবী ও মোঃ দিদারুল আলম। কোষাধ্যক্ষ পদে মোঃ মোস্তফা ও মোঃ নজরুল ইসলাম।সদস্য পদে এরইমধ্যে যারা মনোনয়ন দাখিল করেছেন তাঁরা হলেন, রফিক উদ্দীন সিদ্দিকী, মোঃ আবুল হোসেন, পংকজ বড়ুয়া, মোঃ আঃ জব্বার ও মোঃ খোরশেদ আলম কোম্পানি।সমিতির সভাপতি পদপ্রার্থী দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী মোঃ কাশেম বলেন, সততা ও নিষ্ঠার সাথে সমিতির সকল সদস্যেদের আমানত রক্ষা ও সুষ্ঠভাবে সমিতি পরিচালনাই আমার মূল লক্ষ্য।অপর সভাপতি প্রার্থী তপন কান্তি দে বলেন, আমি একজন পেশাদার কাঠ ব্যবসায়ী হিসেবে এর আগেও সংগঠনের সা: সম্পাদকের দায়িত্ব দির্ঘদিন পালন করেছি, এবার সভাপতি ছিলাম। তাই জয়ের ব্যাপারে যেমন আমি আশাবাদী তেমনি হারলেও সমিতির সুখে-দু:খে কাছেই থাকবো।