খুটাখালীতে গরীব অসহায়দের ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট চাইছেন সাদামাটা এক আলেম চেয়ারম্যান

0 ১১৮

কক্সবাজার প্রতিনিধি,সাদামাটা আলেম ও জনদরদী চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচিত মাওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহমান। বয়সে প্রবীণ এ আলেম মানুষের কাছে চেয়ারম্যান হুজুর হিসেবেই পরিচিত। তিনি শুধু সহজ সরল আলেমই নন কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদের দু’বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যানও বটে।

চাল-চলন, পোশাক-আশাকে তিনি একজন সাদামাটা মানুষ হলেও চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে খুবই সচেতন। আগামী ২৬ ডিসেম্বর খুটাখালী ইউপি নির্বাচনে তৃতীয়বারের মত তিনি চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন।

যখনি ইউনিয়নের সর্বত্র ভোটের আমেজ বিরাজ করছে তখন তিনি ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট প্রার্থনা শুরু করেছেন। ইউনিয়নের গরিব-অসহায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

তিনি কথা দিচ্ছেন খুটাখালী ইউনিয়নে অভাবের কারণে কারও যদি না খেয়ে থাকতে হয়, তবে আমি আবদুর রহমান সর্ব প্রথম না খেয়ে থাকব। কারো ঘরে ভাতের চাল না থাকলে সরাসরি আমার সাথে সাক্ষাৎ করবেন। আমার পকেটে টাকা থাকতে, আমার ঘরে একমুঠো চাল থাকতে খুটাখালীবাসী কেউ না খেয়ে থাকবে না, ইনশাআল্লাহ।

চেয়ারম্যান হুজুর নামে পরিচিত মাওলানা আবদুর রহমান খুটাখালী তমিজিয়া ইসলামিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার একজন শিক্ষক। খুটাখালী ইউনিয়নের মানুষের কাছে শুধু চেয়ারম্যান হিসেবেই নয় প্রবীণ আলেম হিসেবেও তার অনেক খ্যাতি রয়েছে।

তবে তার সম্পর্কে এলাকার মানুষের একটা বাড়তি বিশেষণ রয়েছে, যেটি মানুষের কাছে বড় সমস্যাও মনে হয়। তার ইউনিয়নের মানুষের ভাষায়-হুজুরের একটাই সমস্যা, তিনি মিথ্যা আশ্বাস দেন না। তাদের কথা হলো, এ যুগে কি (দু-একটা) মিথ্যা না বললে হয়!

সাদামাটা পোশাক পরে তিনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে। গ্রামে গ্রামে ঘুরে গত ১০ বছরের তার ভাল-খারাপ পৌঁছে দেয়াকে তিনি এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় দায়িত্ব মনে করছেন। এখন তার পুরো মনোযোগ গরিব অসহায় মানুষদের নিয়ে।

প্রবীণ এ আলেম চেয়ারম্যান বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় অন্যান্য চেয়ারম্যানসহ সমাজের সব বিত্তবানদের জন্য হতে পারেন সুযোগ্য আইডল। সমাজসেবায় তিনি সমাজের সম্মানিত ব্যক্তি, আলেম-ওলামা ও জনসাধারণের জন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তিনি পুরো সমাজে এ বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন চেয়ারম্যান হলেই আমল-ইবাদত ও সত্যবাদিতা থেকে দূরে সরে যেতে হয় না।

বরং সত্যবাদিতার সঙ্গেই সমাজের দায়িত্ব পালন করতে হয়। সমাজের উন্নয়নে সত্যবাদী ও ন্যায়-নিষ্ঠাবান ব্যক্তিদেরই জনপ্রতিনিধি হওয়া উচিত। যার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত সাদামাটা আলেম মাওলানা আবদুর রহমান।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!