খুটাখালীতে বড় নাইফরঘোনা ইজারার টাকা নিয়ে নানা তালবাহানার অভিযোগ।

0 ১৫৭

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ফুলছড়ি মৌজার বড় নাইফরঘোনা ইজারার টাকা নিয়ে নানা তালবাহানার অভিযোগ উঠেছে।

প্রায় ৬ শতাধিক কানি জমির ইজারার টাকা পরিশোধ না করে ন্থানীয় প্রভাবশালী-ইজারাদারদের যোগসাজসে কালক্ষেপন ও হয়রানী করায় জমি অংশীদারদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় অংশীদাররা চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত নালিশ দাখিল করেছেন বলে জানা গেছে।

অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার খুটাখালী ফুলছড়ি মৌজার বড় নাইফর ঘোনা চিংড়ি ঘের আগামী বর্ষা মৌসুমে মৎস্য চাষের জন্য প্রকাশ্যে ইজারা- নিলাম দেয়া হয়। এতে ৬৬৪ কানি জমি ও ১০৫ জন জমির অংশীদার রয়েছে।

গত ২৬ জানুয়ারী খুটাখালী বাজারস্থ জামাল হোটেলের দ্বিতীয় তলায় ঘোনা নিলামের আয়োজন করা হয়। ঘোনার অংশীদার মোকতার আহমদের সভাপতিত্বে ও নুরুল হুদার পরিচালনায় এসময় ঘোনা পরিচালনা কমিটির ১৭জন সদস্য ও স্থানীয় মান্যগন্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

প্রকাশ্যে নিলামে ১ লাখ টাকা জমাদান পুর্বক প্রায় ১১ জন ইজারাদার নিলামে অংশ নেন। প্রকাশ্যে নিলামে প্রতি কানি ১১হাজার ৬শ ৬০ টাকা মূল্যে স্থানীয় জিয়া উদ্দীন বাবলু নামে এক ব্যক্তি চিংড়ি ঘের ইজারা নেন। এতে দ্বিতীয় জন ছিলেন ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড মেম্বার নুরুল আজিম। তার মূল্য ছিল ১১ হাজার ৬শ ৫০ টাকা। এসময় নিলাম কমিটি প্রথম জনকে ঘের ইজারা দিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে টাকা জমাদানের তাগিদ দেন।

নির্ধারিত তারিখে ইজারার টাকা জমা না করায় ঘোনা ইজারা বাতিল হয়েছে বলে দাবী করছেন ঘোনার অংশীদার ও নিলাম কমিটির সদস্য ওয়ার্ড মেম্বার নুরুল আজিম।

তার অভিযোগ প্রকাশ্যে নিলামে ঘোনা ইজারা দেয়া হলেও একটি পক্ষ ইজারা মূল্যের অর্ধেক টাকা দিয়ে চিংড়ি ঘোনা দখলের পায়তারা করছে। তিনি জমির অংশীদারদের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একখানা নালিশী অভিযোগ চকরিয়া ইউএনও বরাবর দাখিল করেছেন।

মেম্বার নুরুল আজিম বলেন, আমি নিলাম কমিটির সদস্য। ঘোনা পরিচালনা কমিটির উপস্থিতিতে যে সব শর্ত আরোপ করা হয়েছে, তার কিছুই মানা হয়নি বরং ইজারার অর্ধেক টাকা দিয়ে জমি মালিকদের টকানো হচ্ছে। আমি এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে। আমার নাম ব্যবহার করে যারা এসব অপকর্ম করছে বা সহযোগিতা দিচ্ছে আমি হলফ করে বলছি এসবে আমি নেই।

কেহ আমার নাম বিক্রি করে জমি মালিকদের জিম্মি করতে চাইলে অন্তত আমার সাথে কথা বলুন।

তিনি আরো বলেন, ঘোনা নিলাম হয়েছে ঠিকই তবে ইজারাও শর্ত মতে বাতিল হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে টাকা জমা করা হয়নি। যার কারনে জমির অংশীদারদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বাড়ছে।
তিনি ঘোনা নিলামের আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কোন জটিলতা দেখা দিলে তার দায়ভার নেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।তবে ঘোনা নিলামে অভিযুক্ত কারো বক্তব্য পাওয়া যাইনি। পেলে গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করা হবে।

ঘোনার একাধিক (জমির) অংশীদার ইজারা বাতিল পুর্বক পুনরায় ঘোনা নিলাম দিয়ে সুষ্টভাবে টাকা বন্টনের জন্য পরিচালনা কমিটির হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!