
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীতে লবণ মাঠের পলিথিন কেটে প্রায় লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। লবণের মূল্যে,লাগিয়ত,দাদন ব্যবসায়িদের টাকা শোধ করার জন্য যখনি লবণ উৎপাদনে যুদ্ধ নেমেছে চাষীরা।এমনতর সময়ে স্থানীয় এক চাষীর লবণ মাঠের পলিথিন কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।এতে ঐ লবণ চাষীর অনুমানিক লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার আকতার আহমদ।
বুধবার(২৩ ফেব্রুয়ারী)মধ্যরাতে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ফুলছড়ি মৌজার বড় নাইফরঘোনাস্থ সাবেক মেম্বার আকতার আহমদের মালিকানাধিন লবণ মাঠে।পাশ্ববর্তী লবণ মাঠের চাষা নুরুল ইসলাম,আলতাজ ও হেলাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,রাতের অন্ধকারে লবণ মাঠের পলিথিন কেটে লবণ উৎপাদন ব্যাহত করেছে দুর্বৃত্তরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঔ ঘোনার অংশীদার ও স্থানীয় লবণ চাষী আকতার আহমদের প্রায় সাড়ে ৪ কানি লবণ মাঠের চাষা হিসাবে রয়েছে স্থানীয় মেহেদি হাসান।চলতি মৌসুমে চাষা মেহেদি হাসান ওই মাঠগুলোতে লবণ চাষ করে আসছেন।ঘটনার আগের দিন সন্ধ্যার সময় তিনি মাঠের কাজ শেষ করে বাসায় ফিরে যান।
বুধবার সকালে এসে দেখতে পান একদল দুর্বৃত্ত সাড়ে ৪ কানি লবণ মাঠের সম্পুর্ন পলিথিন কেটে ‘অর্ধ ফুটন্ত’ লবণ নষ্ট করে ফেলে।তিনি চাষী এ অবস্থা দেখে হতবিহব্বল হয়ে পড়ে জমির মালিককে খবর দেন।খবর পেয়ে দ্রুত লবণ মাঠে যান জমির মালিক আকতার আহমদ।তিনি বলেন তার সাথে কারো শত্রূতা ছিলনা।বিগত ক’বছর পূর্বে থেকে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি পক্ষ আমার পিছু লেগেছে।
এর পর থেকে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিনিয়ত আমার পরিবারে নানাভাবে ক্ষতি করে হুমকি অব্যাহত রেখেছে।বুধবার দিনগত রাতে বড় নাইফরঘোনায় আমার সাড়ে ৪ কানির লবণ মাঠের পলিথিন কেটে ব্যাপক ক্ষতি করেছে।বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যাননকে অবগত করেছি।চকরিয়া থানার ওসি ওসমান গনি জানান,এ বিষয়ে কেউ অবগত করেনি।লিখিত অভিযোগ পেলে ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।