গোমাতলী রাজঘাট মুক্তিযোদ্ধা পাড়ার খবর রাখেনা কেউ

0 ৯৪

সেলিম উদ্দীনঃ কক্সবাজার সদরের পোকখালী ইউনিয়নের উত্তর গোমাতলী রাজঘাট( মুক্তিযোদ্ধাপাড়ার) চলাচলের রাস্তার বেহাল দশা।জনপ্রতিনিধিরা বারবার সংস্কারের কথা বললেও সেটা ঘুমের রাজ্যে স্বপ্নে চাঁদ ছোয়ার মতই থেকে যাচ্ছে।বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সরকারের দেয়া উন্নয়ন ধাপে ধাপে তরান্বিত হলেও জেলার এই শিল্প নগরী তার বিপরীত।

এমনটিই অভিযোগ করেন সদরের পোকখালী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে বসবাসরতরা।এই গ্রামেই অর্ধডজন মুক্তিযোদ্ধার বসবাস, তাছাড়া এখানে রয়েছে প্রায় ৪/৫শ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।প্রতি ৫ বছর পরপর স্থানীয় নির্বাচন হয়। যখনি নির্বাচন আসে তখন জনপ্রতিনিধিরা এলাকায় প্রচারণার সময় ওয়াদা দিয়েও যান।

স্থানীয় এলাকাবাসীরা তাদের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিতও করেন। কিন্তু বিশ্বাসের কোন সুরাহা দেয়নি কেউ কোনদিন।তাদের বিশ্বাস যেন গুড়াবালিতেই থেমে থাকে।পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত আর দেখা মেলেনা তাদের।এভাবে দীর্ঘ সময়ধরে সংস্কারের অভাবে অবহেলিত হয়ে পড়ে আছে ৭ নং ওয়ার্ডের হাজারও পরিবারে প্রায় ৫ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি।

বর্ষা মৌসুমে প্রবল বৃষ্টি আর রাস্তার দুই পাশের চিংড়ী মাছের প্রজেক্ট এর পানিতে যেই কোন সময় বিলিয়ে যেতে পারে সড়কটি এমনটাই বলছেন এলাকার সচেতন মহল।

এলাকাবাসীর অভিযোগ স্থানীয় ইউনিয়ন নির্বাচনে চেয়ারম্যানরা নির্বাচিত হলে উর্ধতন কতৃপক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা করে সংস্কারের কথা দিয়ে তারা কথা রাখেননি।পোকখালী ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাধার সম্পাদক রেজাউল করিম (সুজন) বলেন, গত একাদশ সংসদ নির্বাচনে বর্তমান এমপি মহোদয়ও রাস্তাটি করে দেয়ার কথা দিয়েছিলেন।

কিন্তু অতি দুঃখের বিষয় যা এখনো বাস্তবায়ন না হাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে জনবহুল এলাকাবাসী।তিনি আরো জানান,রাস্তার এই বেহাল দশা হওয়ায় গাড়ি চলাচল করতে না পারায় আমাদের প্রয়োজনীয় মালামাল আনা নেওয়া করতে পোহাতে হচ্ছে চরম দূর্ভোগ।

বর্ষাকালে এই কাদামাটির পিচ্ছিল রাস্তা দিয়ে সাধারণ মানুষের যেখানে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয় সেখানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যেতে কতটা বাধা সৃষ্টি হতে পারে জনপ্রতিনিধিরা সেটা বিবেচনা করলে অন্তত আমরা কোনো এক সমাধান পেতাম রাস্তাটির।আমি দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের দাবী জানাচ্ছি।

জনপ্রতিনিধিরা রাস্তাটি সংস্কারে এগিয়ে না আসলে এই বর্ষা মৌসুমেই বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাবে বিপুল মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি।এমনটিই অভিমত সচেতন মহল সহ উত্তর গোমাতলী রাজঘাটবাসির। তারা এই দূর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে সদর- রামু আসনের এমপি ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!