
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে টিনশিট ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।গাছপালার ব্যাপক ক্ষতিসহ বসতঘরে গাছ পড়ে ৪ জন আহত হয়েছে।তাছাড়া ৩৩ ঘন্টা ধরে বিদ্যুৎ বিহীন সন্দ্বীপবাসী।
সোমবার সকাল সাড়ে দশটায় উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ঘূর্ণিঝড়ে সুখদেব মহাজনের বাড়ির সমর মজুমদারের ঘরে গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি চাপা পড়ে।ঘর ভেঙ্গে পড়ে ও ৪ জন মারাত্মক ভাবে আহত হয়।
আহতরা হলেন,হরিলাল মজুমদার,তার স্ত্রী গীতা রাণী মজুমদার,তাদের ছেলে সমর মজুমদার,সমর মজুমদারের স্ত্রী পুষ্পে রাণী ও তার ছেলে অরুপ মজুমদার আহত হয়।আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সরোজমিনে গিয়ে জানা যায়,সকালে প্রচণ্ড বেগে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হচ্ছিল তখনই হরিলাল মজুমদার ও তার স্ত্রী ঘরে ছিলেন।ঘটনার সময় হরিলালের স্ত্রী তার ছেলের স্ত্রী রান্নাঘরে কাজে ব্যস্ত ছিলেন।আর হরিলাল ও তার ছেলে সমর মজুমদার ছিলেন ঘরের বারান্দায়।এ সময় ঘরের পাশে থাকা দু’টি বড় গাছ টিনের ওপরে পড়ে,একই সাথে বিদ্যুৎ এর খুটি পড়ে সরাসরি হরিলাল ও সমরের মাথায় আঘাত করে।
এদিকে গতকাল সন্দ্বীপের বিভিন্ন স্হানে সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়,ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে মগধরা ইউনিয়নের ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ডের বেড়িবাঁধ এলাকার কিছু ঘরবাড়ি টিনশিট উড়ে গেছে,গাছুয়া ঘাটমাঝির হাটের পশ্চিমে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ এর তার ছিড়ে গেছে, আজিমপুর ও কালাপানিয়া ইউনিয়নের অনেক যায়গায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াপদা বেড়িবাঁধ ছুটে অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে,পশ্চিম সারিকাইতের বেড়িবাঁধের বাহিরের পানি প্রবেশ করে অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এ ছাড়াও ঝড়ের তাণ্ডবে বিদ্যুৎ এর খুটি ভেঙে,তার ছিড়ে বিদ্যুৎহীন রয়েছে পুরো উপজেলা।রোববার রাত থেকে উপজেলায় বিদ্যুৎ না থাকায় কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।এখন পর্যন্ত ৩৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় উপজেলার ৩ লক্ষাধিক মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।
উল্লেখ্য যে,সন্দ্বীপ উপজেলায় ১৬২টি সাইক্লোন সেন্টার রয়েছে।এছাড়া ঘূর্ণিঝড়কালীন মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে ২১টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছিলো। সিসিপির ১৪৬ ইউনিটের ২৯২০ জন সদস্য সেচ্ছাসেবকের কাজ করছে বলেও জানা যায়।