কাউছার মাহমুদ দিদারঃ বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে অবর্তীন হলেও চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ পৌরসভা পিছিয়ে রয়েছে।সামান্য বৃষ্টি হলেই সন্দ্বীপ পৌর ৫ নং ওয়ার্ডের অধিকাংশ রাস্তা তলিয়ে যায়। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলোতে ও বড় বড় গর্ত তৈরি হয়ে খানাখন্দে পরিনত হয়েছে। বৃষ্টিরপানিতে বাড়িঘর রাস্তা ঘাটে জমে থাকে হাঁটুপানি। প্রায় ৩০ কিলোমিটার বিস্তৃত এলাকা নিয়ে ১৯৯৯ সালের ২৮ শে ফেব্রুয়ারি ৩য় শ্রেণী পৌরসভা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় সন্দ্বীপ পৌরসভা। বর্তমানে ২য় শ্রেণীতে উন্নীত হয়েছে। ৯ টি ওয়ার্ডে প্রায় ৫০ হাজার লোকের বসবাস এ পৌরসভায়।
পৌরসভা গঠনের ১৯ বছর পেরিয়ে গেলও উক্ত ওয়ার্ডের বেশি ভাগ রাস্তা খানাখন্দে ভরা।ফলে জনগন কাঙ্ক্ষিত সেবা হতে বঞ্চিত।সামান্য বৃষ্টি হলে এলাকায় জলাবদ্ধতার কারনে জনজীবনে নেমে আসে চরম দূর্ভোগ।ওয়ার্ডে বাসিন্দারা নিয়মিত পৌরকর দিয়ে ও নাগরিক সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের।এখানকার রাস্তাঘাট মেরামতের অভাবে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
বর্ষার মৌসুম শুরু হলে বেড়ে যায় চরম জনদূর্ভোগ।সরজমিনে দেখা গেছে প্রায় ৪৮ বছরের পুরনো চাঁন ফকির সড়ক এতটাই খানাখন্দে ভরা যে পাঁয়ে হেঁটে যাওয়া ও কঠিন।কাদা মাটি মাড়িয়ে যান চলাচলে অনুপযোগী হয় পড়ে।তাই এ সড়কে নারী, পুরুষ,বৃদ্ধ স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের ভোগান্তির সীমা থাকেনা। তিন ফুট উচুঁ রাস্তা মাটি ক্ষয়ে এখন ফসলে জমির সমান হয়ে গেছে। ভূক্তভোগীরা বলেছেন পাকাকরণ ও জলাবদ্ধতা নিরসনের কোন ধরনের উদ্যোগ নেননি জনপ্রতিনিধিগন। এ সড়ক দিয়ে প্রায় ১০ হাজার মানুষ চলাচল করে। সামান্য বৃষ্টি হলে এখানকার মানুষ গৃহবন্দী হয়ে পড়ে।এ সড়কে ২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়,২ টি উচ্চ বিদ্যালয় ১ টি নুরানি মাদ্রাসা ও কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের চলাচল করতে হয়। এছাড়াও অত্র ওয়ার্ডের অারো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক কাঁচা রয়েগেছে।
ব্রিগেডিয়ার আবুল মহসিন সড়ক,বাউরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সড়ক,এম আর হাই স্কুল সড়ক ঐতিহ্যবাহী কার্গিল উচ্চ বিদ্যালয় সড়ক,মৌলভী শামসুল হুদা সড়ক দলিল আহম্মদ সড়ক,কলাতলি হতে দক্ষিণে সন্দ্বীপ সদরে যাওয়ার রাস্তাটি ভাঙ্গা ও খানাখন্দক সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে।বছরের পর বছর এ সমস্যা বিরাজমান থাকলেও উত্তরণের পথ দেখছেনা এ অঞ্চলের বাসিন্দারা।এলাকাবাসী জানান দীর্ঘ দিন এ সমস্যার কারনে আমরা এলাকাবাসি পৌর কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।
আমাদের কে বারবার আশ্বাস দেয়ার পরে ও কোন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছেনা।ভারি বৃষ্টিপাত হলে এ এলাকার সাথে সন্দ্বীপ শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।একজন গর্ভবতী মা অসুস্থ হলে জরুরি চিকিৎসার জন্য ক্লিনিক বা হাসপাতালে নেয়া দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। তাই যত দ্রূত সম্ভব গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গুলি মেরামত ও পাকাকরণে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিকর্ষন করছে ভুক্তভোগী জনগন।
পরের খবর