জন্ম নিবন্ধন,ওয়ারিশ,মৃত্যু,জাতীয়তা সনদসহ প্রয়োজনীয় সনদ প্রাপ্তি সহজীকরণ করতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে সুজনের চিঠি।

0 ৬৯

অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ জন্ম-নিবন্ধন,ওয়ারিশ,মৃত্যু,জাতীয়তা সনদসহ প্রয়োজনীয় সনদ প্রাপ্তি সহজীকরণ করতে মাননীয় স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এর নিকট চিঠি দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।আজ শনিবার(২০শে নভেম্বর ২০২১ খ্রি.)মন্ত্রীর নিকট এ চিঠি প্রেরণ করেন সুজন।

এ সময় তিনি স্থানীয় সরকারের উদ্যোগে সরকার বাংলাদেশে ২০২৪ সালের মধ্যে শতভাগ জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন নিশ্চিত করার যুগান্তকারী উদ্যোগ গ্রহণ করায় মাননীয় স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।এর মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন যুগে প্রবেশ করবে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।তিনি বলেন তবে যতক্ষণ পর্যন্ত এসব সনদ গ্রহণে হয়রানি এবং দুর্নীতিমুক্ত করা না যায় ততক্ষণ জনগন এর সুফল লাভে বঞ্চিত হবে। সন্তানদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি,নতুন পাসপোর্ট তৈরী,বিবাহ নিবন্ধন,জমি রেজিস্ট্রেশন,মৃত্যুজনিত কারণসহ নানা কারণে বিভিন্ন ধরনের সনদ প্রতিদিনই প্রয়োজন হয়।কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে এসব সনদ গ্রহণ করতে প্রায়ই ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

চট্টগ্রাম মহানগর এলাকাসহ বেশ কিছু এলাকায় জন্ম নিবন্ধন,ওয়ারিশ,মৃত্যু,জাতীয়তা,ভূমিহীন সনদসহ প্রয়োজনীয় সনদ পেতে অবর্ননীয় হয়রানি এবং দুর্নীতির শিকার হচ্ছে সেবা গ্রহীতারা।ক্ষেত্র বিশেষে মোটা অংকের উৎকোচও আদায় করা হচ্ছে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে মর্মে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।বিশেষ করে নতুন নিয়মে জন্মনিবন্ধন সনদ গ্রহণে খুব বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।জন্মনিবন্ধন সনদের জন্য এমন সব তথ্য চাওয়া হচ্ছে যা প্রদান করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে সাধারন নাগরিকদের।ফলে নাগরিক সাধারন জন্মনিবন্ধনসহ উক্ত সনদসমূহ সংগ্রহ করতে বেশ জটিলতার সম্মূখীন হচ্ছেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষাসহ বিভিন্ন বিভাগে নানারকম ভাতা প্রদানের মাধ্যমে সমাজের অনগ্রসর মানুষকে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।সেক্ষেত্রে সনদপ্রাপ্তি যদি জটিলতার সৃষ্টি করে তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মকান্ড বাঁধাগ্রস্ত হতে পারে।তাই এসব সনদপত্র প্রদানে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গকে আরো আন্তরিক হতে হবে।

এছাড়া নির্বাচিত মহিলা কাউন্সিলরগণ যেহেতু তিন ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত হয়েছেন সেক্ষেত্রে তারা বেশি সংখ্যক জনগনের প্রতিনিধিত্ব করেন।তাই এসব সনদ প্রদানে মহিলা কাউন্সিলরদের যদি সংযুক্ত করা যায় এবং সামাজিক কাজে তাদের ক্ষমতায়ন করা যায় তাহলে তাদের মাধ্যমে সাধারণ জনগন,সমাজ এবং রাষ্ট্র উপকৃত হবে।এর ফলে এসব সনদ প্রদানে সরকারের টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।সনদসমূহের সহজ প্রাপ্তি নিশ্চিতে মাননীয় স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন সুজন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!