ডিজেল-কেরোসিন ১১৪ টাকা,পেট্রোল ১৩০,অকটেন ১৩৫

0 ৪৮৮

সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে।শুক্রবার(৫ আগস্ট)দিনগত রাত ১২টার পর থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।ভোক্তা পর্যায়ে লিটার প্রতি ডিজেল ১১৪ টাকা,কেরোসিন ১১৪ টাকা,অকটেন ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ১৩০ টাকা নির্ধারণ করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।শুক্রবার(৫ আগস্ট)রাত ১০টায় জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন কর্তৃক পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়,বৈশ্বিক বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি হওয়ার কারণে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন(বিপিসি),ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড(ইআরএল)এ পরিশোধিত এবং আমদানি/ক্রয়কৃত ডিজেল,কেরোসিন,অকটেন ও পেট্রোলের মূল্য সমন্বয় করে ভোক্তা পর্যায় নিম্নোক্তভাবে পুণর্নির্ধারণ করা হলো।শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকে ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের ভেতর ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা মূল্য ডিজেল প্রতি লিটার ১১৪ টাকা,কেরোসিন ১১৪ টাকা,অকটেন ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোল ১৩০ টাকা।

এদিকে বিদ্যুৎ,জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন,জনবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় আমজনতার স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়।যতদিন সম্ভব ছিল,ততদিন সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির চিন্তা করে নাই।অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকটা নিরুপায় হয়েই কিছুটা অ্যাডজাস্টমেন্টে যেতে হচ্ছে।২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে সরকার জ্বালানি তেলের  মূল্য কমিয়ে দিয়েছিল।পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে অনুযায়ী জ্বালানি তেলের মূল্য পুনরায় বিবেচনা করা হবে।

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের ঊর্ধ্বগতির কারণে পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিভিন্ন দেশে নিয়মিত তেলের মূল্য সমন্বয় করে থাকে।ভারত ২০২২ সালের ২২ মে থেকে কলকাতায় ডিজেলের মূল্য প্রতি লিটার ৯২.৭৬ রুপি এবং পেট্রোল লিটার প্রতি ১০৬.০৩ রুপি নির্ধারণ করেছে, যা অদ্যাবধি বিদ্যমান রয়েছে।এ মূল্য বাংলাদেশি টাকায় যথাক্রমে ১১৪.০৯ টাকা এবং ১৩০.৪২ টাকা।( ১ রুপি = গড় ১.২৩ টাকা)।অর্থাৎ বাংলাদেশে কলকাতার তুলনায় ডিজেলের মূল্য লিটার প্রতি ৩৪.০৯ এবং পেট্রোল লিটার প্রতি ৪৪.৪২ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছিল।মূল্য কম থাকায় তেল পাচার হওয়ার আশঙ্কা থেকেও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো সময়ের দাবি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়,বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন বিগত ছয় মাসে(২২ ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত)জ্বালানি তেল বিক্রিতে(সব পণ্য) ৮০১৪.৫১ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে।বর্তমানে আন্তর্জাতিক  তেলের বাজার পরিস্থিতির কারণে বিপিসির আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখাতে যৌক্তিক মূল্য সমন্বয় অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!