তরুন ব্যবসায়ী জসিমকে হত্যা মামলা থেকে অব্যহতি চেয়ে মানববন্ধন এলাকাবাসী

0 ১৯৬

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের তরুণ ব্যবসায়ী জসীম উদ্দীনকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে মানহানি করায় খরুলিয়া বাজারে ১৪ আগস্ট(শুক্রবার)নামাজের পরে একটি বিশাল মানববন্ধন করে এলাকাবাসী তারা বলছে তরুণ ব্যবসায়ী জসীমউদ্দীন নির্দোষ তাকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।কক্সবাজার সদরের খরুলিয়া বাজার এলাকায় ১০ আগস্ট ভ্রাম্যমাণ অবস্থায় খুচরা ইয়াবা বিক্রির সময় জনতার হাতে গণধোলাই ও পরে পুলিশে সোপর্দ করে নবী হোসেন(৩৮)নামের এক যুবককে।পরে তার মৃত্যু হয় থানা হেফাজতে।

শুক্রবার(১৪ আগষ্ট)জুমার নামাজ শেষে ঝিলংজা ইউনিয়নের লোকজন খরুলিয়া বাজারে মানববন্ধন করে। উক্ত মানববন্ধনে ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান,মেম্বারগন,রাজনীতিবিদ সহ উপস্থিত ছিলেন সর্বস্তরের মানুষ। তাদের একটাই দাবি মামলায় নিরহ ব্যক্তিদের অব্যাহতি ও দোষীদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা।

উক্ত মানববন্ধনে,নবী হোসেন হত্যা মামলা সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন উপস্থিত সকলে।সেই সাথে নবী হোসেন হত্যার সাথে কোন প্রকার সম্পৃক্ততা ছাড়া জড়ানো হয়েছে তরুন ব্যবসায়ী জসিম উদ্দীন কে।জসিম উদ্দীন কে ৫নং আসামী করা হয়েছে বলে জানা যায়।তাদের উক্ত মামলায় আসামী করায় এলাকাবাসী ক্ষোব প্রকাশ করে স্থানীয় জন সাধারন।তাদের প্রশাসনের প্রতি দাবি,উক্ত মামলার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দোষীদের আইনের আওতায় এনে নির্দোষ ব্যক্তিদের মামলা হতে অব্যাহতি দেওয়ার। তরুন ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন খরুলিয়া এলাকায় মাদক নির্মূলে তার প্রত্যক্ষ সহযোগিতা রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান।অপরদিকে সে খরুলিয়া বাজারের একজন সৎ ব্যবসায়ি।সে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার লোক নয়।ঘটনার দিন মূলত কি কি ঘটেছে খরুলিয়া বাজারের অন্তত ২০০জন প্রত্যক্ষ্যদর্শী রয়েছে।সত্যিকার অর্থে দোষীদের আড়াল করতে নিরহ মানুষ ও জনপ্রতিনিধিকে জড়ানো হয়েছে।উপস্থিত সকলের দাবি,অনতিবিলম্বে তরুন ব্যবসায়ী জসিম কে উক্ত হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা হতে অব্যাহতি দেওয়া হউক।

প্রসঙ্গত,গত ৪ দিন ধরে উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র কক্সবাজার জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন।সদরের খরুলিয়া এই নিয়ে চলছে টানটান উত্তেজনা।উক্ত ঘটনায় ১২জন আসামী করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।গণপিটুনিতে আহত ও পরে থানা হেফাজতে মৃত্যু নবী হোসেনের বড় ভাই আলী হোসেন বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।

উক্ত ইয়াবা সেবনকারীর মৃত্যুর কারনে কক্সবাজার সদর মডেল থানার চৌকস পুলিশ অফিসার(ওসি)শাহজাহান কবির কে প্রত্যাহার করা হয়েছে।গত মঙ্গলবার(১১ আগষ্ট)ভোরে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল হতে চিকিৎসা শেষে নবী হোসেন কে পুনরায় থানা হেফাজতে নিয়ে আসা হয় সেখানেই তার মৃত্যু ঘটে।নবী হোসেন ঝিলংজা ইউনিয়নের পশ্চিম মুক্তারকুল এলাকার মৃত আব্দু শক্কুরের ছেলে।

ঘটনার দিন সোমবার(১০ আগস্ট)দুপুরে খরুলিয়া বাজার এলাকায় নবী হোসেন একটি চুলা মুড়ির দোকানে অবস্থান করছিল।সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারীর খপ্পরে পড়ে সে। ছিনতাইকারীর দলের সাথে তার হাতাহাতি শুরু হয়।একপর্যায় তার কাছ থেকে ১৩ পিছ ইয়াবা,গাজা,ছুরি ও নগদ ১ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা।কিছুক্ষনের মধ্যে স্থানীয় জনসাধারন ঝড়ো হয়ে পড়ে।ঐ সংঘবদ্ধ দল তাদের সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন।ঘটনাস্থল হতে এনাম নামের একজন দোকানদার ঝিলংজা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান কে ফোনে বিস্তারিত জানান। চেয়ারম্যান টিপু সুলতান কিছুক্ষনের মধ্যে ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার শরীফ উদ্দীন কে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। কথিত খুচরা ইয়াবা কারবারী নবী হোসেন হঠাৎ সাথে থাকা ছুরি নিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে চেষ্টা করে চেয়ারম্যান সহ জড়ো হওয়া লোকজনকে।ধারালো অস্ত্রের আঘাতে একজন টমটম চালক সাহাব উদ্দিন সহ কয়েকজন আহত হন।নবী হোসেন অনেকদূর পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।কিন্তু উৎসুক জনতা তাকে ধাওয়া করে। প্রায় খরুলিয়া বাজার হতে অর্ধ কিলোমিটার পশ্চিমে তাকে ধরতে সক্ষম হয় স্থানীয়রা। একপর্যায় নবী হোসেন কে আহত অবস্থায় আবারো খরুলিয়া বাজারে নিয়ে আসা হয়।

ইতিমধ্যে চেয়ারম্যান টিপু সুলতান সদর মডেল থানায় বিষয়টি অবগত করেন ও পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছে।সদর থানার এস আই অঞ্জনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম আহত নবী হোসেন কে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানায় নিয়ে যায়। পরে থানা হেফাজতে তার মৃত্যু ঘটে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!