আব্দুল করিম,চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি: বর্তমান সারা বিশ্বে চলমান করোনা ভাইরাসের কারণে এবার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.)’র জশনে জুলুস উদযাপন করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট। সোমবার এ বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।করোনাকালে পাকিস্তান থেকেও কেউ আসছেন না। গতবার জুলুসের নেতৃত্ব দেন পাকিস্তান থেকে আগত আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ (মা.জি.আ)। বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর পৃথিবীতে শুভাগমনের এ দিনটি ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণভাবে উদযাপন করতেই এ জুলুসের আয়োজন করে আনজুমান ট্রাস্ট।এতে বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জামেয়া ময়দানে শুধুমাত্র চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার পীর ভাই ও শুভাকাঙিক্ষদের নিয়ে সকাল ৮ টা থেকে মাহফিল ও যথাসময়ে নামাজে জুমা এবং জুমা শেষে আখেরি মুনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।এছাড়াও সরকারী নির্দেশনাকে সম্মান জানিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জশনে জুলুস না করে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে নিজ নিজ অবস্থান থেকে মসজিদ, খানকা শরীফ এবং মাদরাসাসমুহে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে খতমে কোরান শরীফ, খতমে গাউছিয়া শরীফ, খতমে মজুমআহ-এ- সালাওয়াতে রাসূল(দ:) ও খতমে বোখারি শরীফ আদায় করার জন্য গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানান আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজনের সাথে আলাপ হয়েছে। এছাড়া মাইকে পবিত্র কোরান তেলাওয়াত এবং ইসলামী সঙ্গীত প্রচার করা হবে।গাউছিয়া কমিটি চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সভাপতি আলহাজ মাহাবুবুল আলম সওদাগর বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইতোমধ্যে এলাকাভিত্তিক কর্মসূচি শুরু হয়ে গেছে। দেশের যেসব এলাকায় শাখা কমিটি আছে সেখানে ইসলামী সাংস্কৃতি প্রতিযোগিতাসহ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। বিভিন্ন ইউনিয়ন, থানা, উপজেলা কমিটি এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।গাউছিয়া কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট মোসাহেব উদ্দিন বখতিয়ার বলেন, মিলাদুন্নবীর দিন যে জুলুস বের হয় সেটি অর্ধশত বছরের ঐতিহ্য। তাই আমরা প্রতীকীভাবে হলেও বের করতে চাই।উক্ত জরুরী ঘোষণায় আরো বলা হয়, ২৯ অক্টোবর ২০২০ (১১ রবিউল আউয়াল) বৃহস্পতিবার পবিত্র জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে কেন্দ্রীয় গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশের উদ্যোগে ’দাওয়াতুল খায়র’ কর্মসূচীর ধারাবাহিকতায় বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত পবিত্র কোরআন ও হাদীস শরীফের আলোকে শীর্ষ স্থানীয় আলেমগণ কর্তৃক বিষয় ভিত্তিক আলোচনা এবং রাত ৯ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত হামদ ও নাতে রাসূল (দ:)’র কর্মসুচি পালন করা হবে।