সন্দ্বীপে বিমানবন্দর স্থাপনের দাবিতে এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন পাকিস্থান আমলে বিমান বন্দরের স্বপ্ন দেখা সন্দ্বীপিরা কেন আধুনিক যুগে এসেও সেটির বাস্তবায়ন ঘটাতে পারবেনা? এবং সেটি কেন অযৌক্তিক বা অসাধ্য মনে হবে। নৌ-রুট সহ একাধীক যাতায়াত ব্যবস্থা থাকলে যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী সেটি ব্যবহার করবে। বরং জরুরী মুহুর্তে সর্বনিন্ম আয়ের লোকটিও সে সুবিধা গ্রহন করবে, এবং সেদিন এমন ব্যবস্থাকে আশির্বাদ মনে করবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।
গত ৩ মার্চ বিকালে সন্দ্বীপ বিমানবন্দর বাস্তবায়ন পরিষদের উদ্যোগে পাকিস্থান আমলে অধিগ্রহনকৃত স্থানে বিমান বন্দর নির্মানে জনমত তৈরি ও বাস্তবায়নের দাবীতে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিষদের আহবায়ক বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স এর প্রাক্তন উপ-প্রধান প্রকৌশলী তামজিদুর রহমান।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা। এসময় তিনি বলেন অধিগ্রহন কৃত জায়গায় বিমান বন্দর স্থাপনের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি বিষয়টি মহান সংসদে উথ্বাপন করবো।
উক্ত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মাস্টার শাহজাহান বিএ ও পৌরসভার মেয়র মেয়র মোক্তাদের মাওলা সেলিম। সন্মানীত অতিথি ছিলেন মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের নাদিম, হারামিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জসীম , দীর্ঘাপাড় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন টিটু।সভা সঞ্চালনা করেন বিমান বন্দর বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব শাহাদাৎ হোসেন আশরাফ।
সভায় বিশেষ অতিথি মাষ্টার শাহজাহান বিএ ও মেয়র মোক্তাদের মাওলা সেলিম বলেন দেশের মুল ভু-খন্ডের উন্নয়নের সাথে পাল্লা দিয়ে সন্দ্বীপে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, এখন প্রয়োজন উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থারও। সেটি নিশ্চিত করলে আমরা আধুনিকতার ছোঁয়া পাবো। তাহলে বড় বড় উদ্যোক্তারা সন্দ্বীপে বিনিয়োগ করবেন।
পর্যটক সহ এলাকার বেশীর ভাগ লোকের সন্দ্বীপে তখন যাতায়াত বাড়বে। আর সে সব ধনাঢ্য ব্যক্তিরা নারীর টানে সন্দ্বীপে বার বার ছুটে আসবেন। সময়ের প্রহেলিকায় পড়ে তারা সন্দ্বীপে আসতে পারেননা বলে সন্দ্বীপের প্রতি সকলের মমত্ববোধ হৃাস পাচ্ছে। তাই বিমান বন্দর এখন আমাদের প্রানের দাবীতে পরিনত হয়েছে। এমপি মহোদয়ের প্রচেষ্টায় সেটিও সম্ভব হবে।