
সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে একটি অডিও ক্লিপ।যেখানে শোনা যায়,অশ্লীল ভাষায় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে দেখা করার জন্য বাধ্য করছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।সেখানে কথা বলতে শোনা যায় চিত্রনায়ক ইমনকেও।
মূলত প্রতিমন্ত্রী ও এই নায়কের কথোপকথনটিই ভাইরাল হয়েছে।বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন ইমন। জানান,অডিও ক্লিপটি সঠিক।অপর প্রান্তে ছিলেন প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।তবে ঘটনাটা দুই বছর আগের।একটি ছবির মহরত অনুষ্ঠানের আগের রাতে ফোন দেন প্রতিমন্ত্রী।
পরদিন কি মন্ত্রী আবারও যোগাযোগ করেছিলেন বা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এমন প্রশ্নে ইমন বলেন, “সত্যি বলতে,উনি এত উপরের জায়গায় যে আমি কি উনার সঙ্গে তর্ক-বিতর্কে যেতে পারবো?আর পরদিন ছিল আমাদের মহরত।আমরা ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম।এরপর উনি আর বিষয়টি নিয়ে তেমন কথা বলেননি।তবে আরও একটা বিষয়, আমাদের মহরত হয়েছিল কিন্তু ২০২০ সালের মার্চের প্রথম সপ্তাহে।এরপরই তো করোনা শনাক্ত হলো(৮ মার্চ)।ঢাকা শহর লকডাউনে গেলো।আমরা কিন্তু যে যার মতো ঘরে ঢুকে গেলাম।
ইমন জানান,সেদিনের মিটিং হয়েছিল বনানীর একটি রেস্তোরাঁয়।এরপর রাতে তারা বাসায় চলে যান।মাহি কেমন প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল জানতে চাইলে এই নায়ক বলেন, ‘মাহিকে যে এভাবে প্রতিমন্ত্রী গালিগালাজ করেছেন,আমি জানতাম না। মাহির হাতে ফোনটা দিয়ে আমি তখন ডিরেক্টরের সঙ্গে স্ক্রিপ্ট নিয়ে কথা বলছিলাম।প্রতিমন্ত্রীর ফোনটি আমার নম্বরে এলেও আমার সেটে রেকর্ডিং অপশনই নেই।আর মাহিও তো একজন আর্টিস্ট। নিশ্চয়ই তিনি সহজভাবে নিতে পারেননি।বিষয়টি নিয়ে আমার সঙ্গে তিনি ডিসকাস সেভাবে করেননি। এরপর আমি চেষ্টা করছিলাম,কাজ শেষ করে বাসায় যেতে।মাহিও বাসায় চলে যান।’
ইমন মনে করেন,তথ্য প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তিনি যেকোনও আর্টিস্টকে ফোন দিতেই পারেন।কিন্তু এমন আচরণ অগ্রহণযোগ্য।তার দাবি,তিনি পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন মাত্র।
এদিকে,বিষয়টি নিয়ে মাহির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।জানা যায়, তিনি সৌদি আরবে স্বামীসহ ওমরাহ পালন করতে গেছেন।কিন্তু মাহির ভিডিও লাইভে বলেছেন সমস্ত বিষয় আমি তখন এড়িয়ে গিয়েছিলাম।