প্রকৃতির কাছে বন্ধী সন্দ্বীপবাসী,আজ তিন দিন এই দ্বীপের মানুষ প্রাকৃতিক কারাগারে আছেন।একদিকে রেমালের তাণ্ডব অন্যদিকে রোগীদের আত্বচিৎকারে ভারি হয়ে যাচ্ছে সন্দ্বীপের আকাশ-বাতাস।
চট্টগ্রাম টু সন্দ্বীপ যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে নৌপথ।আজ চারদিন ধরে ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে বন্ধ রয়েছে যাতায়াতের একমাত্র ঘাট কুমিরা-গুপ্তছরা ঘাট।সব ধরনের নৌযান চলাচলে আবহাওয়া অফিসের নিষেধাজ্ঞা।যাতায়াতের সব উপায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সন্দ্বীপের সাথে চট্টগ্রামের চলাচল বন্ধ।
এদিকে প্রাকৃতিক এই দূর্যোগের কারণে সন্দ্বীপের অসংখ্য রোগীসহ সন্দ্বীপবাসী প্রাকৃতিক কারাগারে বন্দি হয়ে আছেন।চিকিৎসা ব্যবস্থায় এতটায় দূর্বল সন্দ্বীপ উপজেলা যে,বড় ধরনের সমস্যা হলেই চট্টগ্রামে পাঠিয়ে দেয় ডাক্তার।এই মুহূর্তে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম বন্ধ থাকায় সন্দ্বীপেই বিনে চিকিৎসায় পড়ে আছে অনেক রোগী।
এবিষয়ে,বাউরিয়ার এক রোগীর চাচাতো ভাই হাসান তারেক জানান,পরশু চাচাতো ভাই হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে যায়।অক্সিজেন সিচুরেশন কম,ডাক্তারের পরামর্শ ইকো করতে হবে,হার্টের কোন সমস্যার কারনে এটি হচ্ছে।কিন্তু সন্দ্বীপে নিয়মিত কোন কার্ডিওলিজিস্ট না থাকায় ইকো করা যাচ্ছেনা।চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া জরুরি।অক্সিজেন সাপোর্ট থাকলে স্বাভাবিক থাকে কিন্তু অক্সিজেন সাপোর্ট ছাড়া স্টাবল হচ্ছে না।
আবহাওয়া এত বেশি খারাপ যে,চট্টগ্রাম নেয়াও সম্ভব হচ্ছে না।তাই আপাতত অক্সিজেন সাপোর্ট নিয়ে সন্দ্বীপ আছে।আবহাওয়া কিছুটা ভালো হলে চট্টগ্রাম নিয়ে যাবো।
অন্যদিকে সন্দ্বীপ মেডিকেল সেন্টারে ছাদ থেকে পড়ে যাওয়া আরেকজন রোগী অপেক্ষা করছে চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য।রোগীর অবস্থা খারাপের দিকে।চট্টগ্রাম না নিতে পারলে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে সন্দ্বীপ বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় বিঘ্ন ঘটায় সন্দ্বীপের বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল অপারেটরের প্রায় টাওয়ার অচল হয়ে পড়েছে।এতে ওই সব এলাকায় মোবাইল সেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।মোবাইল সেবা বিঘ্ন ঘটায় কল এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না সন্দ্বীপের বিভিন্ন এলাকার মানুষ।এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন প্রবাসে থাকা তাদের প্রিয়জনরা।