অনলাইন ডেস্কঃ ফুলকলি ফুড প্রোডাক্টসে বিক্রি করা হচ্ছিল বাসি দই ও মেয়াদোত্তীর্ণ কোমল পানীয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের একটি টিম ঘটনা জেনে হাতেনাতেই ধরলো তাদের। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানা করা হয়েছে ২০ হাজার টাকা।
শনিবার (৪ জুলাই) সকালে চট্টগ্রাম নগরীর কাপ্তাই রাস্তার মাথার মান্নান প্লাজায় ফুলকলির শোরুমে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে ভোক্তা অধিকার টিম ফুলকলিতে পাওয়া ২০ কেজি দই ছাড়াও মেয়াদোত্তীর্ণ কোমল পানীয় ধ্বংস করে।
অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ, সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপিয়া সুলতানা লিজা এবং চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
ভোক্তা অধিকার টিম এদিন কাপ্তাই রাস্তার মাথায় আরও পাঁচটি প্রতিষ্ঠান এবং বায়েজিদের ওয়াজেদিয়া এলাকায় দুটি প্রতিষ্ঠানকে ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা করে।
এর মধ্যে ১৩০ টাকার স্যানিটাইজার ৪০০ টাকায় বিক্রির চেষ্টা করায় মোহরার এম আলম ফার্মেসিকে ১০ হাজার টাকা, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য রাখায় জিবিয়া স্টোরকে সাত হাজার টাকা, অননুমোদিত এনার্জি ড্রিংক রাখায় হাসান বেকারিকে চার হাজার টাকা ও আল আমিন স্টোরকে এক হাজার টাকা এবং অননুমোদিত পণ্য বিক্রি করায় লন্ডন বেকারিকে চার হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
একই দিনে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখায় বায়েজিদ এলাকার ওয়াজেদিয়া চৌরাস্তার কেয়ার মেডিকেল হলকে দুই হাজার টাকা এবং মেয়াদবিহীন মোড়কজাত দুধ ও মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপণ্য সংরক্ষণ করায় নেজামে হাসনা এলাকার ইমরান এন্ড ব্রাদার্সকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
কপিঃ চট্টগ্রাম প্রতিদিন
পরের খবর