অনলাইন ডেস্কঃ বরিশালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের ছবি তোলার সময় এক ফটো সাংবাদিককে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে।তবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান,হেনস্তা তো নয়ই বরং তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন ওই সাংবাদিক।
সোমবার দুপুরে বরিশালের সাংবাদিক মাইনুল হাসান সড়কে হেনস্তার ওই অভিযোগ ওঠে।ফটো সাংবাদিক শামীম আহম্মেদ বলেন,‘ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের কথা শুনে সোমবার দুপুরে সাংবাদিক মাইনুল হাসান সড়কের মুখে যাই। সেখানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়া ত্রিপুরার নেতৃত্বে অভিযানের ছবি তোলার জন্য ক্যামেরা বের করি।
‘তখনই রয়া ত্রিপুরা জানতে চান,আমি এখানে কী করছি।যুগান্তরে কাজ করি বলে জানাই তাকে। তিনি পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে তাও দেখাই।এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক সদস্য আমাকে আটক করতে এগিয়ে আসেন।পরে আমার ভিজিটিং কার্ড চান রয়া ত্রিপুরা।কার্ড হাতে নিয়ে তিনি আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন।’
অভিযোগের বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়া ত্রিপুরা বলেন,‘নগরীর সাংবাদিক মাইনুল হাসান সড়কের মুখে একটি দোকান খোলা দেখে সেখানে যাই।এ সময় মোটরসাইকেলে তিন যুবক যাওয়ার সময় তাদের দাঁড় করানো হয়।
‘ভ্রাম্যমাণ আদালত চলার সময় ভিড় জমে যাওয়ায় সেখান থেকে লোকজনকে সরে যেতে বলা হয়।ওই সাংবাদিকও সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন।আমরা তো আর জানতাম না যে উনি সাংবাদিক।উনি যে ছবি তুলতে চান,রিপোর্ট করতে চান সেটা আমাদেরকে বলেনি।’
রয়া ত্রিপুরা বলেন,‘আমার সঙ্গে প্রথম থেকেই উচ্চ গলায় কথা বলছিলেন তিনি।এ সময় আমি ওনাকে বলেছি,আপনি কোর্টের সঙ্গে এমনভাবে কথা বলতে পারেন না।আমার সঙ্গে অতটুকু কথাই হয়েছে। তাকে কেউ আটক করতে বলেনি,গাড়িতে ওঠার কথাও বলেনি।উনি বরাবরই আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। কোনো মানুষকে অসম্মান করে আমরা কোর্ট পরিচালনা করি না।’