
বাঁশখালী(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধিঃ বাঁশখালীর গন্ডাামারায় গত শনিবার সংঘটিত কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংঘর্ষের ঘটনায় গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও ১ শ্রমিক মারা গেছেন।এই নিয়ে নিহতের সংখ্যা ৬ জন হল।নিহত শ্রমিকের নাম রাজিউল ইসলাম(২২)। তিনি দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার আব্দুল মালেকের ছেলে।কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এখনও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।চায়না ৯ শতাধিক কর্মকর্তা-শ্রমিক ও দেশের কিছু সংখ্যক শ্রমিক কাজে যোগদান করলেও প্রকল্প এলাকায় শ্রমিকদের মধ্যে ভীতিকর পরিবেশ বিরাজ করছে।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) মো.আজিজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
উল্লেখ্য এর আগে গত শনিবার সকালে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে শ্রমিকদের ১১ দফা দাবীর বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে ৫ জন শ্রমিক নিহত হয় এবং ৩২ জন আহত হয়।নিহতরা হলেন কিশোরগঞ্জের ফারুক আহমদের ছেলে মাহমুদ হাসান রাহাত (২২), চুয়াডাঙ্গার অলি উল্লাহর ছেলে মো.রনি হোসেন(২৩),নোয়াখালীর আব্দুল মতিনের ছেলে মো.রায়হান(১৯),চাঁদপুরের মো.নজরুলের ছেলে মো.শুভ (২২),বাঁশখালীর পূর্ব বড়ঘোনার মওলানা আবু ছিদ্দিকির ছেলে মাহমুদ রেজা (১৯)।
আহতদের মধ্যে ১৮জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।এছাড়া উক্ত কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল মাসে দুইপক্ষের গুলিতে ৬ জন নিহত হয়েছিল।এ নিয়ে বাঁশখালী কয়লা বিদ্যুতের পেটে গেল গোটা ১২জন জল জেন্ত মানুষ।