বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে নোয়াখালীর সেনবাগে দাফনের প্রায় ৪ বছর পর মৃত ব্যক্তির লাশ উত্তোলন।

0 ২১২

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ দাফনের ৩ বছর ৮মাস ১৪ দিন পর বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে মামলাটি পূর্নময়না তদন্তের জন্য মোঃ হাসান প্রকাশ কালাইয়া(৩৫)নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিকেশন (পি বি আই)।ঘটনাটি বুধবার দুপুরে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৩নং ডমুরুয়া ইউপি’র ডমুরুয়া হাজারী বাড়িতে ঘটে।নোয়াখালীর এক্সিকিউটিভ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাসুদুর রহমান ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (পিবিআই)মোস্তাফিজুর রহমান,এস আই মোবারক,এসআই ফরিদ ও সেনবাগ থানার এ এস আই সুফিয়ানের উপস্থিতে লাশটি কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।এ সময় মামলার বাদী শহিদ উল্লাহ,স্থানীয় ইউপি সদস্য বেলায়েত হোসেন হাজারী,সমাজসেবক এম এ মাজেদ,মাসুদ মিয়া সহ বিপুল সংখ্যক এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

মামলার সুত্রে জানা যায় ,গত ২০১৬ইং সালের ২০ নভেম্বর রাতে ডমুরুয়া হাজারী বাড়ির শহিদ উল্লাহ বড় ছেলে মোঃ হাসান প্রকাশ কালাইয়া তাদের বাড়ি পাশ্ববর্তী ডিপ টিউভওয়েল (মটর ঘরে) ঘুমিয়ে পড়ে।পরবর্তীতে একই এলাকার গোলাম রসুল,রাজন প্রকাশ রাজু,মহসিন ওই মটর ঘরে গিয়ে কালাইয়াকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে নেশা জাতীয় মদ খেতে বলে।কালাইয়া মদ না খেয়ে তাদেরকে ঘর থকে বের হয়ে চলে যেতে বললে সাথে সাথে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে কালাইয়ার মাথায় আঘাত করলে সে মারা যায়।পরবর্তীতে তার লাশ ওই ঘরে রেখে পালিয়ে যায় তারা।

পরদিন সকালে তার মৃত্যুর সংবাদটি জানাজানি হলে সেনবাগ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তেরজন্য মর্গে প্রেরণ করেন। এঘটনায় নিহত কালাইয়ার পিতা শহিদ উল্লাহ ৩ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করলে পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে।মামলাটি সিআইডি দীর্ঘ তদন্ত করে ফাইনাল রিপোর্ট দাখিল করে আদালতে।কিন্তু মামলার বাদী সিআইডির দাখিল করা রিপোর্টে সন্তোষ না হয়ে সে আদালতে নারাজি দাখিল করেন।এরপর আদালতের নির্দেশে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিকেশন (পিবিআই)এর ওপর ন্যাস্ত করে।তারা বুধবার তদন্তের প্রয়োজনে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে ফরেনসিক টেষ্ট্রের জন্য লাশটি কবর থেকে উত্তোলন করে নিয়ে যায়।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!