ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামের আবু কালাম চৌধুরীর ছেলে মাদক ব্যবসায়ী আবু কাহার চৌধুরীর ছুরিকাঘাতে একই ইউনিয়নের ছোট কুড়িপাইকা গ্রামের বাছির খন্দকারের ছেলে তোফাজ্জল খন্দকার গুরুতর আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে আখাউড়া থানায় ৩ জনকে আসামি করে মামলা করেছে আহত তোফাজ্জল খন্দকারের পিতা বাছির খন্দকার।জানা যায,উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামের আবু কালাম চৌধুরীর ছেলে আবু কাহার চৌধুরী ও তার পরিবার দীর্ঘদিন যাবত প্রকাশ্যে দিনে দুপুরে মাদক বিক্রি করে আসছে।কিন্তু এলাকাবাসী তাদের ভয়ে প্রকাশ্যে কোন অভিযোগ করতে সাহস পায়নি।
মাদক ব্যবসায়ী আবু কাহার চৌধুরী সীমান্ত ঘেষা ছোট কুড়িপাইকা গ্রামের তোফাজ্জল খন্দকারের বাড়ির উপর দিয়ে প্রকাশ্যে মাদক আনা-নেওয়া করে এতে প্রায় সময় তোফাজ্জল আবু কাহারকে বাধা নিষেধ করে প্রতিবাদ করে।এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে গত মঙলবার সকালে আবু কাহার চৌধুরী ও তার সাথে আরও কয়েকজন মিলে তোফাজ্জল খন্দকারের বাড়িতে গিয়ে তাকে ঘর থেকে ডেকে তার গলা ও ঘাড়ে এলোপাতাড়ি ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে এসময় বাড়ির লোকজনের আর্ত- চিৎকার শুনে আশপাশের বাড়ির লোকজন এসে রক্তাক্ত তোফাজ্জল খন্দকারকে উদ্ধার করে দাওয়া করে আবু কাহার চৌধুরীকে আটক করে আর তার সাথে থাকা বাকিরা পালিয়ে যায়।পরে আটক আবু কাহার চৌধুরীকে রক্তাক্ত ছুরিসহ আখাউড়া থানা পুলিশের কাছে দেওয়া হয়।
আহত তোফাজ্জল খন্দকারকে প্রথমে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে তার জহম গুরুতর দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করে। জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তোফাজ্জলের অবস্থা আশংকাজনক দেখে তাকে ঢাকা রেফার করে, বর্তমানে তোফাজ্জল ঢাকা একটি হাসপাতালে মূমুর্ষ অবস্থায় আইসিওতে আছে।তোফাজ্জল খন্দকারের পিতা বাছির খন্দকার জানান,আসামিরা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী, দাঙ্গাবাজ ও লাঠিয়াল প্রকৃতির লোক। তাদের ভয়ে এলাকার লোকজন কথা বলতে ও সাহস পায়না।
ঘটনার আগের দিন সন্ধ্যায় আবু কাহার চৌধুরী কে আমার বাড়ির উপর দিয়ে মাদক নিয়ে যেতে নিষেধ করাই আমার ছেলের অপরাধ।পরের দিন সকালে মাদক ব্যবসায়ী আবু কাহার চৌধুরী ও তার পরিবারের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ধারালো ছুরি নিয়ে আমার ছেলেকে হত্যার জন্য আমার বাড়িতে এসে আঘাত করে।
এই সময় আমাদের আর্ত-চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এসে আবু কাহারকে রক্তাক্ত ছুরিসহ আটক করে।এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছি।আখাউড়া থানায় মামলা নাম্বার ১৩ তারিখঃ ১৬-১১-২০২১ কিন্তু দুঃখের বিষয় আমার ছেলের খুব খারাপ অবস্থায় ঢাকা হাসপাতালে আইসিওতে আছে। মামলায় ধারা ৩২৩/৩২৬/৩০৭ থাকার পরও কোন অদৃশ্য কারনে আদালত আসামীর জামিন মঞ্জুর করেছে।জামিনে এসেই আমাকে নানাভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছে।এতে করে আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় আছি।এ অবস্থায় আমার ছেলের কিছু হলে এর দায়ভার কে নিবে।