মাধবপুরে দিগুণ মূলে পাট বিক্রয় ভীড় করছে পাইকাররা,সরবরাহ দেশের হচ্ছে বিভিন্ন প্রান্তে

0 ৮১

স্টাফ রিপোর্টারঃ হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন গুলো জুড়ে পাটের বাম্পার ফলনে সরবাহ করছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।প্রতিদিন জেলা ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পাইকার গণ এসে মাধবপুর বাজার থেকে চড়া দামে পাট সংগ্রহ করছেন চাষিদের কাছ থেকে।উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের পাট চাষি এবং ক্রেতা ও বিক্রয়তাদের কাছ থেকে জানা যায় (বৃহস্পতিবার ২৬ আগষ্ট) পাঠ বাজারে ভালো দাম থাকায় বেশ খুশি কৃষকরা।বর্তমানে পাট কাটা,পাট জাগ দেওয়া ও আঁশ ছাড়ানোর কাজে বস্ত্য সময় পার করছে উপজেলার বিভিন্ন স্থানের পাট চাষিরা।

 

সরজমিনে গিয়ে তথ্যমতে জানা যায় যে,মাধবপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পাটের জমিতে প্রায় ০৮ থেকে ১০ মণ পাটের ফলন হয়েছে।পাটের জমিতে বিগত বছরগুলো থেকে এবছর খরচ হয়েছে আনুমানিক ০৪ হাজার থেকে ০৬হাজার টাকা।এতে খরচের চেয়ে প্রায় তিনগুণ লাভ বেশি পাচ্ছেন সকল চাষিরা।এবিষয়ে পাট চাষী ফরসু মিয়া সহ বেশ কিছু চাষিরা বলেন যে,গতবছর আমি ২ বিঘা জমিতে পাট চাষ করছিলাম এতে বিঘাপ্রতি ০৮ থেকে ০৯ মণ পাট পেয়েছিলাম।কিন্তু এ বছর ৩ বিঘা জমিতে পাট চাষ করছি।

 

গতবার সর্বোচ্চ ০২ হাজার টাকা মণে পাট বিক্রি করেছিলাম।কিন্তু এবছর পাটের বাজারের মান ভালো থাকায় মণ প্রতি ০৩ হাজার ৫০০ শত টাকা থেকে ০৪ হাজার টাকা দামে বিক্রি করতে পারছি পাট।উপজেলার আদাঐর ইউনিয়নের আলোয়া পাড়া গ্রামের পাট চাষী মোঃ মনির হোসেন বলেন, আমি ৩৭ শতক জমিতে পাট লাগিয়েছিলাম। মোটামুটি ফসল ভালো হয়েছে।বীজ থেকে চারা বড় করার জন্য প্রচন্ড রোদ থাকায় ঘন ঘন সেচ দিতে হয়েছে, আগাছা দমন করার জন্য অনেক খরচ হয়েছে।কীটপতঙ্গের দিক থেকে,পাটে বিষাক্ত পোকা না থাকাই ঔষধ কম দিতে হয়েছে, আবহাওয়া অনুকূলে ও কোনো দুর্যোগ না থাকায় পাট অনেক ভালো হয়েছে, বাজারে পাটের দামও অনেক বেশি থাকায় আমাদের তেমন লোকসান হয়নি। ৩৭ শতক জমিতে ৯ মণ পাট পেয়েছি। এতে করে আমরা পাট চাষীরা অনেক খুশি।

 

উল্লেখীত পাটের বিষয়ে মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আল মামুন হাসান বলেন,উপজেলায় গত বছর ৩০০ হেক্টর জমিতে পাট চাষাবাদ হয়।তেমন লাভ না হলে ও এবছর ৩৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে।বাজারে পাটের দাম ভালো থাকায় কৃষকরা পাট চাষে আগ্রহী হয়েছে।ইতি মধ্যে চাষকৃত সব পাট কাটা প্রায় শেষের পথে।এখন জাগ আর আঁশ ছাড়ানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা।বাজারেও রয়েছে দিগুণ দাম।আবহাওয়া অনুকূলে ও প্রাকৃতিক কোন দূর্যোগ না থাকায় ফলন ভালো হয়েছে।এছাড়াও উপজেলার অফিসার ও মাঠকর্মীরা পাট চাষের জন্য সব সময় কৃষকদের সেবা ও পরামর্শ দিয়ে আসছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!