ভোলার লালমোহন উপজেলায় ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮টি ইউনিয়নের মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ, চরভূতা, কালমা, লর্ডহাডিঞ্জ, রমাগঞ্জ, ধলীগৌর নগর, লালমোহন ও বদরপুর এই আটটি ইউনিয়নের ইউপি নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও সীমানা জটিলতার দোহায় দিয়ে মামলার জালে আটকে রয়েছে এসকল ইউনিয়নের নির্বাচন। ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের ৫টি ধাপ পেরিয়ে গেলেও লালমোহনে নির্বাচন হয়নি মেয়াদ উত্তীর্ণ ইউনিয়নগুলোর। ৮টি ইউনিয়নের সাধারণ ভোটাররা তাকিয়ে আছে সর্বশেষ ধাপ ৬ষ্ঠ ধাপের দিকে।
জানা যায়, পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের সর্বশেষ ইউপি নির্বাচন হয়েছিল ২০০৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি। ৫ বছর পর নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলে আজও হয়নি এই ইউনিয়নের নির্বাচন। এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ এক বার জিতে প্রায় ১৮ বছর যাবত চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই ইউনিয়নে ৩ জন ইউপি সদস্য মৃত্যুবরন করলে সেখানে এখন পর্যন্ত পদগুলো শুণ্য রয়েছে। বর্তমানে ১৭ টি মামলা চলছে এই ইউনিয়নে।
চরভূতা, কালমা ও লর্ডহাডিঞ্জ ইউনিয়নে সর্বশেষ ইউপি নির্বাচন হয়েছিল ২০১১ সালের ৩১ মার্চ। ৫ বছর পর নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও মামলার জটিলতায় এখনও হয়নি এই তিন ইউনিয়নের নির্বাচন। এই ৩ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হলেও প্রায় ১১ বছর পর্যন্ত তারা চেয়ারম্যান হিসাবে আছেন।
রমাগঞ্জ, ধলীগৌর নগর, বদরপুর ইউনিয়নে ২০১৬ সালের ৩১ মার্চ ইউপি নির্বাচন হয়। লালমোহন ইউনিয়নে ২০১৬ সালের ২২ মার্চ ইউপি নির্বাচন হয়। লালমোহন ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. শাহাজাহান নির্বাচনের তফসিল না দেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন জানিয়েছেন। গত ২৪ আগস্ট তিনি ৯টি ওয়ার্ডের সীমানা পুনর্বিণ্যাস করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে দাবি করে এ আবেদন করেন। এই চার ইউনিয়নের মানুষ মনে করেছিল প্রথম পাঁচ ধাপের ইউপি নির্বাচনে তাদের ইউনিয়নের নির্বাচন হবে। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে তফসিল ঘোষনা হয়নি। এখন সবাই তাকিয়ে আছে ৬ষ্ঠ ধাপের তফসিলের অপেক্ষায়।