মুক্তার মনি পরিকল্পনায় নিখোঁজ কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী সুমাইয়া উদ্ধার,প্রভাব খাঁটিয়ে মামলা থেকে মুক্তামনির নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগ
বিশেষ প্রতিনিধিঃ যশোরের বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের অভিযানে ঢাকার আদাবর থানা(ডি এমপি)এলাকা হতে উদ্ধার হওয়া বেনাপোলের সেই কলেজ ছাত্রী সুমাইয়া তার নিঁখোজ রহস্য নিয়ে মুখ খুলেছেন।চাঞ্চল্যকর তথ্যের সাথে তার মায়ের দ্বায়ের কৃত বেনাপোল পোর্টথানার অপহরন মামলার তদন্ত কার্যক্রমে প্রভাব খাঁটানো সহ ভবিষ্যত জীবন নষ্টকারী জৈনেক মহিলা মুক্তা পারভীনের উপযুক্ত শাস্তি দাবী করেছেন।মুক্তা পারভীন শার্শা উপজেলার পুটখালী ইউনিয়নের মালিপোতা গ্রামের মৃত মিজানের স্ত্রী ও সি এন্ড এফ এজেন্ট ব্যাবসায়ী।ঘটনার বর্ননায় ভূক্তভোগী সুমাইয়া গনমাধ্যম কর্মীদের জানাই,বাইপাস সড়কে ঘুরতে গিয়ে তার পরিচয় হয় মুক্তা পারভিনের সাথে।মুক্তা পরিকল্পনা মাফিক সুমাইয়ার মোবাইল ফোন নাম্বার গ্রহন করে ও পরে বাসায় গিয়ে কল করে মুক্তার অফিসে যেতে বলে।সুমাইয়া অফিসে গেলে সেখানে মুরশিদুল হক কে বসে থাকতে দেখে।এ সময় মুক্তা সুমাইয়া কে মুরশীদ কে বিয়ে করার প্রস্তাব দিলে বয়স বেশী হওয়ায় সুমাইয়া আপত্তি জানিয়ে অফিস হতে চলে যায়।পরবর্তীতে মুক্তা ফোনে সুমাইয়া কে নানা প্রোলভন দেখায় মুরশিদুল কে বিয়ে করতে।এক পর্যায়ে সুমাইয়া সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগে মুক্তার অফিসে দেখা করতে যায়।গত ১০আগস্ট মুক্তা তার নিজিস্ব আইনজিবী দ্বার যশোর আইনজিবী ভবনের দ্বিতীয় তলার অফিস কঙ্খে নিজে উপস্তিত থেকে ১ লাখ টাকা কাবিন করে সুমাইয়ার সহিত মুরশিদুল হকের বিবাহ রেজিস্ট্রী করান বলে জানান।মুক্তার পরিকল্পনা মাফিক বেনাপোলে ফিরে বাড়ি চলে যায় সুমাইয়া।কয়েকদিন পর মুক্তার ফোন কল পেয়ে অফিসে গেলে মুরশিদুল তাকে গাড়িতে ওঠে তার সাথে যেতে বলে।মুরশিদুলের দেওয়া কোমল পানীয় খেয়ে সে অনেকটা অঘোর অবস্থায় মুরশিদুলের সাথে ঢাকায় অবস্থান করে।ঢাকায় অবস্থান কালীন সময়ে সুমাইয়া জানতে পারে মুরশিদুলের বউ আছে যা মুক্তা পারভীন তার কাছে গোপন করেছিলো।টাকার প্রয়োজনে মুরশিদুল তার বাইক বেচতে খুলনায় এলে পুলিশের জালে ধরা খায়।তার দেওয়া তথ্যে বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশ সুমাইয়া কে ঢাকা হতে উদ্ধার করে এনে আদালতের শরাণাপন্নে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেই।তার সাথে ঘটা প্রতারণার বিচার পেতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করে সংবাদকর্মীদের কাছে সুমাইয়া তার ভবিষ্যত জীবন নষ্টের মূল হোতা মুক্তা পারভীনের উপযুক্ত বিচার দাবী করেন।বেনাপোল পোর্টথানার তদন্ত কর্মকর্তাকে আনেকবার তার অপহরনে সহযোগী মুক্তা মনির নাম বললেও প্রভাব খাঁটিয়ে এজহার হতে তার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে বলে আরো অভিযোগ জানান।এমনকি নিঁখোজ থাকা কালীন তার মা মুক্তা পারভীনের নামে থানায় লিখিত নারী পাচারের অভিযোগ জানালে সুষ্ঠু তদন্ত না হয়ে অভিযোগ টি ধামা চামা পড়ে বলে আরো জানান।এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বেনাপোল পোর্টথানার সাব ইন্সেপেক্টর মোঃ রফিক সুমাইয়ার মায়ের মুক্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়ার সত্যতা স্বীকার করে জানান,অভিযোগের ভিত্তিতে আমি সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স সহায়তায় তথ্য প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে ঢাকার আদাবর থানা এলাকা হতে মেয়েটিকে উদ্ধার করি। মেয়েটির মা বাদী হয়ে আসামী মুরশিদুল সহ অঙ্গাতনামা ২/৩ জনকে আসামী করে আপহরন মামলা দিলে আসামী কে কোর্ট হাজতে প্রেরন করি।মেয়েটির মেডিকেল পরীক্ষা ও ২২ ধারায় জবানবন্দী গ্রহন শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করি।অভিযোগ প্রশ্নে তিনি আরো বলেন,মামলা তদন্তধীন রয়েছে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের পরামর্শ অনুযায়ী আইনগত প্রক্রিয়ায় পরবর্তী ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।এ বিষয়ে অভিযুক্ত মুক্তা পারভিন জানান,নিখোঁজ থাকা মেয়েটি তার মেয়ের বান্ধবী ছিলো সে অনুযায়ী সুমাইয়ার সাথে মুরশিদুলকে বিয়ের প্রস্তাব দিই।সুমাইয়া ও মুরশিদুল পালিয়ে গেলে তার মা থানায় আমার নামে অভিযোগ করেন।থানা থেকে বিষয়টি জানতে পেরে আমি প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে নিখোঁজ মেয়েকে উদ্ধার করেছি। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভূক্তভোগীর অভিযোগ প্রশ্নে নাভারন-ক সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ জুয়েল ইমরান জানান,মামলার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে এ কাজে জড়িতদের প্রত্যেকের আইনের আওতায় আনা হবে,কোন অপরাধীই পার পাবেনা।চাঞ্চল্যকর বিবাহ ঘটনা ও সর্বশেষ অপহরন মামলা সহ অপহরন কাজে সহোযোগী আসামীর নাম না আসায় বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের তদন্ত কার্যক্রম জনমনে প্রশ্নবিদ্ধ। অপহরনের মূল হোতা কে বাঁচাতে তদবির মিশনে সক্রিয় হয়েছেন শার্শার একটি প্রভাবশালী মহল বলে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে।ভূক্তভোগী সুমাইয়া তার সাথে ঘটা প্রতারণা ও এ কাজে জড়িতদের সুষ্ঠ বিচার পেতে প্রশাসন সহ সমাজের ক্ষমতাবান ব্যাক্তিদের নিকট সহযোগীতার আকুতি জানান।
মোবাইল ০১৭১২৯৪৭৮৭১