রাজধানীর গুলশান এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বিএসটিআই এর অনুমোদন বিহীন মেয়াদ উত্তীর্ণ পন্য মজুদ, সংরক্ষণ ও বিক্রয়ের অভিযোগে ১০ টি খাদ্যসামগ্রীর দোকানকে ১০ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড করেছে র্যাব-৪।
রাজধানীর গুলশান এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বিএসটিআই এর অনুমোদন বিহীন মেয়াদ উত্তীর্ণ পন্য মজুদ, সংরক্ষণ ও বিক্রয়ের অভিযোগে ১০ টি খাদ্যসামগ্রীর দোকানকে ১০ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড করেছে র্যাব-৪।র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র্যাব এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। খুন, ডাকাতি, দস্যুতা, ধর্ষণ, অপহরণ, চাঁদাবাজি, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাসী গ্রেফতার এবং জঙ্গীবাদের মত ঘৃণ্যতম অপরাধের রহস্য উদঘাটনসহ নকল পণ্য ক্রয়-বিক্রয় ও তৈরী করায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অপরাধীদের গ্রেফতার পূর্বক অর্থদন্ড আদায়ে র্যাবের জোড়ালো তৎপরতা অব্যাহত আছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোহাম্মদ আনিসুর রহমান এর নেতৃত্বে ফিল্ড অফিসার (সিএম), বিএসটিআই, ঢাকা এর সহযোগিতায় ০৭/০২/২০২২ তারিখ দুপুর ১২.৩০ ঘটিকা হতে বিকাল ১৭.০০ ঘটিকা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর গুলশান-১ এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বিএসটিআই এর অনুমোদন বিহীন পন্য এবং পন্যের মোড়কে ওজন, পরিমান, উপাদান, উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ ব্যবহার না করে পন্য মজুদ, সংরক্ষণ ও বিক্রয়ের অভিযোগে নিম্নোক্ত ১০ টি খাদ্য সামগ্রীর দোকানের মালিক ও ম্যানেজারকে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়ঃ
ক। সৈয়দ মাহফুজ আলী (৪৮), মালিক, মেসার্স মুনিবার ট্রেডার্স’কে ১,০০,০০০/- টাকা।
খ। মোঃ রাকিবুল আলম (৩৬), ম্যানেজার, মেসার্স রাইয়ার এন্টারপ্রাইজ’কে ১,০০,০০০/- টাকা।
গ। সৈয়দ মোশেদুর রহমান (৫৫), মালিক, মেসার্স কামাল জেনারেল ষ্টোর’কে ১,৫০,০০০/- টাকা।
ঘ। মোঃ নোমান সিদ্দিক (২৭), মালিক, নাদিম এন্টারপ্রাইজ’কে ১,২৫,০০০/- টাকা।
ঙ। আরমান হোসেন রিয়াজ (৩৪), মালিক, মক্কা ট্রেডার্স’কে ১,০০,০০০/- টাকা।
চ। মোঃ ইউছুফ (৪৩), মালিক, মেসার্স বিসমিল্লাহ ট্রেডার্স ৭৫,০০০/- টাকা।
ছ। মোঃ শাহ নেওয়াজ চৌধুরী (৩০), মালিক, মৃধা এন্টারপ্রাইজ’কে ৫০,০০০/- টাকা।
জ। সৈয়দ মাহফুজ আলী (৪৮), মালিক, ওমর ট্রেডার্স’কে ১,০০,০০০/- টাকা।
ঝ। মোঃ ইকবাল হোসেন (৩৫), ম্যানেজার, ফারুক ট্রেডার্স’কে ১,০০,০০০/- টাকা।
ঞ। মোঃ শরিফুল ইসলাম (৩৫), ম্যানেজার, নেওয়াজ এন্টারপ্রাইজ’কে ১,০০,০০০/- টাকাসহ সর্বমোট ১০ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করে আদায় করা হয়।
৩। ভবিষ্যতে জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষার্থে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।