কাউছার মাহমুদ দিদারঃ ১৯৯৯ সালের ২৮ শে ফেব্রুয়ারি প্রায় ৩০.০৩ বর্গ কিলোমিটার আয়তন নিয়ে গঠিত হয় সন্দ্বীপ পৌরসভা।মোট জনসংখ্যা ৬০৬২১ জন,পুুরুষ ভোটার ৩১৩৬৬ জন,মহিলা ভোটার ২৯২৫৫ জন।এখানে রয়েছে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ২ টি একটি বালক ও একটি বালিকা,বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয় আছে ৫ টি,প্রাথমিক বিদ্যালয় ২০ টি মাদ্রাসা দাখিল ১ টি ও এবতেদায়ী ১৫টি,কিন্ডারগার্ডেন ৫ টি,শিক্ষার হার ৪৮.১% সাত বছর ধরে,হাট বাজার রয়েছে ৫ টি,বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ১ টি হাসপাতালের সংখ্যা ১ টি ১০শয্যা ও ১ টি ক্লিনিক,স্বাস্থ্যকেন্দ্র ২টি,মসজিদ রয়েছে ৫২ টি মন্দির ৭ টি ব্যাংক ৩ টি,পাবলিক লাইব্রেরি,আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগার আছে ১ টি করে।সাইক্লোন সেন্টার বড় সাত টি ছোট পনের টি।উক্ত পৌরসভা হোল্ডিং রয়েছে ৭৮০১ টি,এতিমখানা সরকারি ১টি ও বেসরকারি ৮ টি সমবায় সমিতি ৪১ টি,পৌর কবরস্হান ২টি এবং অডিটোরিয়াম রয়েছে ১ টি।ড্রেন পাকা ৬০ কিলোমিটার,কাঁচা ২ কিলোমিটার।
পৌরসভার রাস্তার সংখ্যা ১১০ টি মোট দৈর্ঘ্য ২১০ কিলোমিটার,কাঁচা রাস্তা ১৬৩ কিলোমিটার পাকা রাস্তা রয়েছে ৪৭ কিলোমিটার,বেঁড়িবাধ ৩ কিলোমিটার।গত ৫ বছর আগের তথ্য অনুযায়ী এক নজরে পৌরসভা।কিন্তু বর্তমানে কাঁচা ও পাকা রাস্তার অবস্হা এতটা নাজুক সরজমিনে দেখলে বুঝা যায়।প্রতিনিয়ত জন দূভোর্গ পোহাতে হয় পৌর বাসিন্দাদের। যেন দেখার কেউ নেই।
প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে ঘুরে দেখা যায় লোকজনের যাতায়াতের করুণ দৃশ্য। বর্ষার মৌসুমে ও ব্যাপক আকারে দূভোর্গে পড়েন এখানকার জনসাধারণ।নেই কোন খাল খনন,সময় মতো খাল খনন না করায় ও খালে কিছু অসাধু লোকজন যত্রতত্রে বাঁধ দিয়ে মাছ আহরণের সুযোগে উপকুলে রাস্তা ঘাট ফসলি জমি ভেস্তে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়।পৌরসভা ৫ নং ওয়ার্ডে সাপ্তাহর পর সাপ্তাহ পানিবন্দী হয়ে দূসাধ্যে জীবন যাপন করতে হয় এ অঞ্চলের বাসিন্দাদের।কাঁচা রাস্তা গুলো এতটা খানাখন্দে ভরা পায়ে কাঁদা মাড়িয়ে যাওয়া কঠিন।তাছাড়া পাকা রাস্তাগুলোর মাঝখানে মাঝখানে ইটের কনক্রিট ওঠে গর্ত কোথাও পাশ ভেঙ্গে রড উঠে রাতের বেলায় যাতায়াতের এক মরণ ফাঁদের সৃষ্টি। পৌরসভা ৪ নং ওয়ার্ড পৌর মার্কেট হতে ৯ নং ওয়ার্ড কেন্জাতলী পর্যন্ত চিত্রে দেখা যায় রাস্তাটি নাজুক অবস্হা।
গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো দিয়ে দিনের পর দিন যান চলাচল বন্ধ থাকে।কিছু এলাকাতে দেখা মেলে সড়কের মাঝখানে পুরনো কালভার্ট ভেঙ্গে চলাচলপথ বন্ধ।ছবি তুলতে গেলে এক ভূক্তভোগী জানান”ছবি তুলে লাভ কি?এ পর্যন্ত কত জন ছবি নিল কাজ হয় না”।”রাস্তা নাই ঘাট নাই নাম দিছে পৌরসভা”।কথাগুলো ক্ষোভের সাথে বললেন একজন।জানাগেছে নিয়মিত পৌরকর পরিশোধ করে ও কাঙ্ক্ষিত সেবা হতে বঞ্চিত পৌরবাসিন্দারা।