এমরান হোসেনঃ জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রোপনকৃত আমন ধানের চারা ক্ষেত থেকে তুলে ফেলে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতেই ক্ষান্ত হয়নি ধানের চারা গুলোকে কেটে কুচি কুচি করে ফেলেছে। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে।
খবর পেয়ে সরেজমিন ঘুরে দুর্বৃত্তদের এমন নজিরবিহীন ও ন্যক্কারজনক ঘটনার চিত্র ১৯ শতাংশ জমিতে দেখা যায়। জানা গেছে মৃত জালাল উদ্দিন সরদারের মেয়ে আম্বিয়া খাতুন পৈত্রিক সূত্রে এই জমির প্রকৃত মালিক।যার হাল দাগ নং ৬০৯৮৫, ৬০৯৮৬, ৬০৫০২, ৬০৫০৩, ৬০৫০৪,খতিয়ান নং ২২৮০,ডিসি ১৮৪২।
আম্বিয়া খাতুন চাষী আবুল কাশেমকে দিয়ে আমন ধানের চারা লাগান।কিন্তু একই এলাকার আবু সিদ্দিক কারি,মোস্তফা কারি, আবুল বাশার কারি, ফারুক কারি, মুন্সি বাড়ীর আবুল হাশেম মুন্সীর ছেলে শাহাদাত (৩৫), কারিসাব বাড়ির খায়রুল বাশারের ছেলে আব্বাস (২৫), মৃত সৈয়দ আহমদ কারীর ছেলে মোঃ আবু তাহের কারি (৪৫) ও শরীফ কারীর ছেলে রনি(২০),সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন মিলে শুক্রবার সন্ধ্যার পরে জমিতে রোপা আমন ধান তুলে কেটে কুচি কুচি করে ফেলেছে।
এই নিয়ে চাষী আবুল কাশেম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন- ‘আমি শেষ হয়ে গেছি। আমার পুঁজি শেষ করে ফেলেছে! ধারদেনা করে জমিতে ধান রোপণ করেছি, এখন আমি কি করব!’
স্থানীয় মুজিবুল হক বেপারী বলেন -‘এরকম ন্যক্কারজনক ঘটনা জীবনেও দেখিনি। ছি:ছি :ছি: যারা এ ধরনের কান্ড ঘটিয়েছে তারা কি ভাত মাছ খায় না? এই ধরনের অপকর্মের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক এটাই চাই।’
আম্বিয়া খাতুনের ছেলে শাহ আলম বলেন -‘আমরা মায়ের বাবার বাড়ির ওয়ারিশী প্রাপ্ত সম্পত্তিতে বর্গাচাষী দিয়ে আমন ধানের চারা লাগিয়েছি। সন্ত্রাসীরা রাতের আধারে ক্ষেত থেকে ধানের চারা তুলে কুচি কুচি করে কেটে ফেলেছে।’
শাহাদাত আব্বাস ও আবু তাহেরের বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করলে তাদের পক্ষ নিয়ে আনোয়ার হোসেন নামের এক ব্যক্তি রূঢ় আচরণ করেন ও বাধা দেন।
সন্ত্রাসীদের কয়েক জনের নাম উল্লেখ করে হাজিমারা তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ দায়ের করেছেন শাহ আলম।
এই নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ এ প্রতিবেদককে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন-‘ শীঘ্রই তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’