বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় বা করোনা বিস্তার রোধে বাংলাদেশ সরকার লকডাউন ঘোষনার পাশাপাশি সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে মাঠে সক্রিয় থাকার নির্দেশনা প্রদান করেন।আর তাতে অগ্রনী ভুমিকা পালন করে বা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা যোদ্ধা হিসেবে পরিগনীত হয় চিকিৎসক,পুলিশ প্রশাসন,সাংবাদিক ও উপজেলা প্রশাসনের কিছু সদস্য।তার মধ্যে আবার কিছু ব্যক্তি নিরলস পরিশ্রম করে ও ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে বা করোনার ঝুঁকিকে উপেক্ষা করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়েছেন।
দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নীতি নৈতিকতা, একাগ্রবোধ,ঝুঁকি নেওয়ার প্রবনতা,কাজে স্বচ্ছতা ইত্যাদি তাদের স্বতন্ত্র মহিমায় উদ্ভাসিত করেছে এবং ভিন্ন ভাবে মানুষের নজর কাড়তে সমর্থ হয়েছেন। তেমনি একজন ব্যক্তি হলেন সন্দ্বীপ উপজেলার সহকারী কমিশনার(ভূমি)মামুন।যার জন্মস্থান নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায়।তার মানবিক আচরন ও নিস্পাপ চেহারার সমন্বয় তাকে এক উচ্চ মাত্রায় আসীন করেছে।পরিচিতি অর্জন করেছেন সকল মহলে।হয়ে উঠেছেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি।
তিনি সন্দ্বীপ উপজেলায় গত ১৯ মার্চ থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত সন্দ্বীপের প্রতিটি হাট বাজার চষে বেড়িয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে।দায়িত্ব পালন করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে।যার কারনে সন্দ্বীপের মানুষের মাঝে করোনা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি,সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা,দ্রব্য মুল্য স্থিতিশীল রাখা,নৌ-ঘাটে অবৈধ যাত্রী পারাবার বন্ধ রাখা ইত্যাদি নিশ্চিত করে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ভুমিকা রেখেছেন ব্যাপক।
উল্লেখিত সময়ে তিনি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে মোট ১৫০ টি মামলায় জরিমানা করেছেন ৭,৮৬,৮০০/ সাতলক্ষ ছিয়াশি হাজার আটশত টাকা।এ সমস্ত জরিমানা যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান সরকার নির্দেশিত নিয়মনীতি লংঘন করেছেন,মূল্য তালিকা বিহীন পন্য বিক্রি বা অতিরিক্ত দামে পন্য বিক্রি করেছেন,অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার পরিবেশন বা খাবার তৈরি করা
সরকারি নির্দেশনা লংঘন করে ব্যবসা করা,মাস্ক ছাড়া চলাচল করা,অবৈধ ভাবে যাত্রী পারাবার,বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, অনুমোদনহীন ফেরিঘাট ব্যবহার ইত্যাদি অপরাধে। তার সাথে সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী সদস্য,সন্দ্বীপ থানার পুলিশ বাহিনীর বিরামহীন দিন রাত ছুটে চলা তাকে এ সন্মানের জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে।আমাদের পত্রিকার পক্ষ হতে এ পরিশ্রমী কর্মকর্তার জন্য অনেক শুভ কামনা রইলো।