সন্দ্বীপে অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় স্কুলছাত্রকে হত্যা।

0 ৪৫৫,৫১২
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে মাদক,দখলবাজি ও জনদুর্ভোগের প্রতিবাদ করায় দশম শ্রেণির ছাত্র রিফাতকে(১৭)হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।সে উপজেলার মগধরা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জামসেদুর রহমানের ছেলে।বাবা জামসেদুর সন্দ্বীপ উপজেলা শ্রমিকদলের ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও মগধরা ইউনিয়ন বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক।
সাংবাদিকদের দেওয়া এক লিখিত বিবৃতিতে জামসেদর রহমান অভিযোগ করে বলেন,অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় সারিকাইত ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী রাজুর নেতৃত্বে আমার ছেলে দশম শ্রেণির ছাত্র রিফাতের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়।তারা ৪ ঘণ্টা আমার ছেলেকে অবরুদ্ধ করে রাখে।পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।রাজু বাহিনীর হামলায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে রিফাত মৃত্যুবরণ করে।
তিনি আরও বলেন,সারিকাইত ইউনিয়ন থেকে বহিরাগতরা মগধরা ইউনিয়নে অবৈধ ব্যবসা করতো। আমার ছেলে মাদক,অবৈধ মাটি কাটা,দখলবাজি ও জনদুর্ভোগের প্রতিবাদ করতো।এসব নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়েছে।এ বিষয়ে আমি ১৮ মে ইউএনও’র কাছে একটি অভিযোগ দেওয়ার পরদিন ১৯ মে রাজু বাহিনী আমার ছেলেকে হত্যা করে।
এবিষয়ে স্থানীয়রা জানান,১৯ মে সন্ধ্যা ৮টায় জামসেদুর রহমানের ছেলে রিফাতের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের কথা কাটাকাটি হয়।পরে রিফাতের ওপর হামলা হয়। প্রথমে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়।পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে তার মৃত্যুবরণ করেন।
সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)এ কে এম সফিকুল আলম চৌধুরী বলেন,আমরা খবর পেয়ে আহত রিফাতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই।এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এদিকে এই হত্যাকান্ড নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে(ফেসবুক)নানা শ্রেণী পেশার মানুষের হত্যার বিচার চেয়ে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট করে যাচ্ছেন।সমস্ত সন্দ্বীপবাসীই বিচারের দাবিতে যার যার ফেসবুকে লিখে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
অন্যদিকে,সন্দ্বীপ উপজেলার বিএনপির পক্ষ থেকেও এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তীব্র নিন্দা ও শোক প্রকাশ করেছেন।গতকাল সন্দ্বীপ উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে আহবায়ক এডভোকেট মোঃ আবু তাহের ও সদস্য সচিব আলমগীর হোছাইন ঠাকুরের সাক্ষরিত একটি বিবৃতিতে এই ঘটনার প্রতিবাদে তীব্র নিন্দা ও শোক প্রকাশ করেন সন্দ্বীপ উপজেলা বিএনপি।
পাশাপাশি সন্দ্বীপ উপজেলা বিএনপি দাবি,পুলিশ প্রশাসন যাতে তদন্তের মাধ্যমে যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনে এব প্রকৃত তদন্তে যদি বিএনপির কোন ব্যক্তি এই ঘটনার অপরাধী প্রমানিত হয় তাহলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ঘোষণা দেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!