চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার মাইটভাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রদলের এক কর্মী উপর হামলার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করছেন ভোক্তভোগী পরিবার।২৪ নভেম্বর বিকেলে এক বসত বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন ভোক্তভোগী সাজ্জাদ হোসেন।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন,আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি)’র সমর্থক এবং একজন কর্মীও বটে।শুধু মাত্র রাজনৈতিক মতানৈক্য থাকার কারনে গত ২০ নবেম্বর আমার উপর ঘটে যায় এক অমানবিক ঘটনা।যার কোন প্রকার বিচার পাওয়ার সম্ভাবনা দেখছিনা শুধু মাত্র রাজনৈতিক উপর মহলের কারনে।
তিনি আরো বলেন,আমি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামশেদুর রহমানের সাথে রাজনীতি করি।রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে গিয়ে মাইটভাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি হুমায়ুন কবিরের সাথে জামসেদুর রহমানের মত ভিন্নতা রয়েছে।যার কারনে গত ২০ নভেম্বর সন্ধ্যায় কবির বাহিনির ৮/১০ জন মিলে ধোপার হাটে জনসম্মুখে আমার উপর আক্রমন চালায় এবং আমাকে অপহরণ করে হত্যার চেষ্টা করে।পরে আমার পরিবার পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ আমাকে উদ্ধার করেন।এ ঘটনার সকল প্রমান থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক চাপে পুলিশ কোন প্রকার কর্যকরী পদক্ষেন নেননি বলে অভিযোগ তুলেন ভোক্তভোগী পরিবার।
সাজ্জাদ হোসেন তার বক্তব্যে আক্ষেপ করে বলেন,আমরা সন্দ্বীপ থানায় লিখিত অভিযোগে হুমায়ুন কবিরকে প্রধান আসামী করে ৬ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করি।তবে থানা আমাদেরকে কোন রিসিভ কপি দেননি।বরং হুমায়ুন কবিরকে আসামী হতে বাদ দিতে বলেন।অপর আসামীরা হলেন,মান্না (২৮),পিতা-মৃত লাতু,শরীপ(২০),পিতা-শামু,ইতু(১৯), পিতা-আজাদ,আরমান(২৪),পিতা-অজ্ঞাত,হুমায়ূন (৫০),পিতা-মৃত মহিব উল্লাহ।
ভোক্তভোগীর লিখিত বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তার পরিবার জানান,সন্দ্বীপ থানা আমাদেরকে সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও কোন এক অদৃশ্য কারনে এ পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে না।এমনকি আমরা অভিযোগ দিলেও রিসিভ কপি না দিয়ে উল্টো প্রধান আসামির নাম বাদ দিতে বলেন।
তাই তারা সংবাদ কর্মীদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণসহ ঘটে যাওয়া ঘটনার তদন্ত সাপক্ষে অতি দ্রুত আইনানু ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।