সন্দ্বীপে নোয়াখালীর তরমুজে সয়লাব সকল বাজার গুলো। বাম্পার ফলন হলেও সরকারী কোন সুযোগ সুবিধা ছাড়ায় কৃষকদের নিজ প্রচেষ্টায় এ সফলতা

0 ২১২
বাদল রায় স্বাধীন: প্রচন্ড গরমের দিনে এক পিচ তরমুজ খেয়ে প্রচুর প্রশান্তি ও তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন সন্দ্বীপের জনগন। প্রায় ঘরে ঘরে নিজের খাওয়ার মেনু ও অতিথি আপ্যায়নে ব্যবহার হচ্ছে এই তরমুজ। কারন বাজারের মোড়ে মোড়ে সহজে পাচ্ছেন এই তরমুজ। বাজার থেকে সবাই তরমুজ কিনলেও অনেকে জানেননা এই ফল কি সন্দ্বীপের না অন্য কোন জায়গার? সে খবর নিতে জানা গেলো এ সকল তরমুজ আসছে নোয়াখালীর সুবর্নচর ও কোম্পানী গন্জ থেকে কালাপানিয়া ফেরিঘাট এলাকা দিয়ে।
সরেজমিনে সেখানে গিয়ে দেখা যায় কয়েকটি ট্রলার বোঝায় করে প্রতিদিন সন্দ্বীপে ঢুকছে পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ এ তরমুজ। খবর নিয়ে জানা যায় প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ হাজার পিচ তরমুজ আসছে সন্দ্বীপে।কয়েকজন চাষী ও তরমুজ ব্যবসায়ী যেমন নুরুল হক চৌধুরী সুবর্ন চর , জাফর কোম্পানী সুবর্নচর চর ৮ নং মোহাম্মদ পুর ও সন্দ্বীপের আফচার ব্যাপারীর সাথে কথা বললে তারা বলেন তরমুজ গত বছরের চেয়ে তিনগুণ বেশি আবাদ হয়েছে। তরমুজের ভালো ফলন হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ক্ষেতগুলোতে তরমুজের ব্যাপক সমারোহ দৃশ্যমান। আকার বড় ও ফলন ভালো হওয়ায় ফসল তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। অন্যদিকে স্থানীয় বাজারগুলোতে তরমুজ বেচাকেনা বেশ জমে উঠেছে। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় তরমুজ ক্ষেতে পানি দিতে খরচ বেড়েছে অনেক।
অন্যদিকে স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তর থেকে কোন প্রকার উপকরন সহায়তা, পরামর্শ বা তাদের মাধ্যমে তরমুজ চাষে কোন প্রনোদনা ও কোন ঋন সহায়তা পাননা তারা। শুধু তাই নয় পরামর্শের জন্য তারা মাঠে কৃষকের কাছে না যাওয়ার সুবাদে প্রচুর ঔষধ কোম্পানীর লোকজন গিয়ে তাদের বিভিন্ন ঔষধ বা কিটনাশক সহ ভিটামিন জাতীয় ঔষধ ব্যবহারের আবেদন নিয়ে তাদের বিরক্ত করে। তাদের সে ঔষধ ব্যবহার করেও কোন ব্যতিক্রম ফলাফল পাননা তারা। তাই সেগুলোকে এক ধরনের প্রতারনা হিসেবে আখ্যায়িত করছেন তারা।
তারা আরো বলেন প্রতিবছর দশ পনের লক্ষ টাকা পর্যন্ত আমরা বিনিয়োগ করি। প্রকৃতি নির্ভর হওয়ায় ও কৃষি অফিসের সহযোগিতা না পাওয়ায় আমাদের এইসব বিনিয়োগ ঝুঁকি নিয়ে করতে হয়। আধুনিক এ যুগে কৃষির অনেক যন্ত্রপাতি উদ্ভাবনের খবর শুনলে সেগুলো আমাদের এলাকায় নেই তাই অনেকে তরমুজ চাষে ঝুঁকি নেওয়া কমিয়ে ফেলছেন। কৃষি অফিস থেকে শুধু সেচ ব্যবস্থা নিশ্চিত করলেও আমরা অনেক উপকৃত হতাম। তাই আমরা আশা করি আগামী বছর গুলোতে কৃষি বিভাগ আমাদের তরমুজ চাষে সুযোগ সুবিধা নিয়ে হাজির হবেন।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!