সন্দ্বীপে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ হতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা,দোয়া মাহফিল সহ বিভিন্ন কর্মসুচী পালন
বাদল রায় স্বাধীনঃ সন্দ্বীপে ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস তথা শাহাদাৎ বার্ষিকীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সহ নিহত তার পরিবারের সকল শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরন করেছে জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা। এ উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের অস্থায়ী কার্যালয়ের পাশে বা ন্যাশনাল ব্যাংক ভবনের নিচতলায় আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও সকাল বেলায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধান্জলী বা পুস্প স্তবক প্রদান করেন প্রায় ৩ শতাধীক মুক্তিযোদ্ধা।
এরপর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সন্দ্বীপের মাননীয় সফল সাংসদ ও উন্নয়নের রুপকার মাহফুজুর রহমান মিতা।বিশেষ অতিথি ছিলেন সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামীলিগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাঈন উদ্দিন মিশন।সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার ও মুজিব বাহিনীর প্রধান সাবেক পৌর প্রশাসক রফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হেলাল চৌধুরীর সাবলীল উপস্থাপনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পৌরসভা আওয়ামীলিগ সভাপতি মোক্তাদের মাওলা সেলিম,সাধারন সম্পাদক সফিকুল মাওলা সফিক, যুগ্ন সম্পাদক ওমর ফারুক, উপজেলা আওয়ামীলিগ নেতা অধ্যক্ষ জামিল ফরহাদ,মাষ্টার মোঃ শহীদুল্যা, মাষ্টার গৌরাঙ্গ চন্দ্র নন্দী, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী,মোশারফ হোসেন লিটন, এবি কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি শাহেদুর রহমান ফাহাদ।
সভায় প্রধান অতিথি এমপি মাহফুজুর রহমান মিতা বলেন এই বছরটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপুর্ন একটি সময় ছিলো কারন এ বছরটিকে বাংলাদেশ সরকার মুজিব বর্ষ হিসেবে ঘোষনা করেছে।তাই বছর জুড়ে ছিলো বর্নাঢ্য আয়োজনের প্রস্তুতি কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করােনা তা থমকে দিলো।তবুও নানা বিধি নিষেধের মধ্য দিয়েও বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকীতে কেউ ঘরে বসে থাকতে পারেনি।এটাই প্রমান করে বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালীর হৃদয়জুড়ে কিভাবে অবস্থান করছেন।
সভার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম তার সমাপনি বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু সন্দ্বীপ এসে কিভাবে তরুনদের মাঝে ছাত্রলীগের বীজ বপন করে দিয়েছেন এবং তার মাধ্যমে সংগঠিত হয়ে সকল তরুন যুবা কিভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছে জীবনবাজি রেখে সে বিষয়ে বিস্তারিত তূলে ধরেন নব প্রজন্মের কাছে।
অন্যান্য বক্তারা বলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে একসময়ের তলাবিহীন ঝুড়ির এই দেশ এখন খাদ্যে যেমন স্বয়ংসম্পূর্ণ তেমনি বিশ্বের দরবারেও উন্নত দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার।কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা স্বপরিবারে তাকে হত্যা করে এদেশে কালো অধ্যায়ের রচনা করে এবং ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে তার বিচার বন্ধ রাখতে চেয়েছিলো কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনা সে ঘাতকদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিয়ে দেশকে কলংকমুক্ত করেছেন।সভাশেষে দুপুরে প্রায় ৩ শতাধীক মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যাহৃ ভোজের আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সফল সামাপ্তি ঘটে।