বাদল রায় স্বাধীনঃ আজ ২০ অক্টোবর রোজ মঙ্গলবার সন্দ্বীপের হারামিয়া ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ও মগধরা ইউপিতে সদস্য পদে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।এতে হারামিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে জসিম উদ্দিন ৭৫৫৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তার প্রতিদ্বন্দী আসিফ আক্তার ২৩৯ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।অপরদিকে মগধরায় সদস্য পদে মোঃ রাকিব ৯৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ওমর ফারুক ৩২ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও ভোট চলাকালীন সময় বিচ্ছিন্ন ২/১ টি ছোটখাটো ঘটনা ছাড়া কোথাও কোন বড় ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
তবে হারামিয়া ইউনিয়নে পরাজিত বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী আসিফ আকতার নির্বাচন প্রত্যাক্ষান না করলেও তার নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন হারামিয়া ভোটারহীন নির্বাচনে প্রমানিত হয় জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস নয়,ক্ষমতাই সকল ক্ষমতার উৎস।
আমাদের এই ভোটারহীন নির্বাচনের সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসা উচিত।কিন্তু তিনি এই সম্পর্কিত কোন অভিযোগ কোথাও জানাননি বলেও সংবাদ কর্মীদের সামনে অকপটে স্বীকার করেন।এ প্রসঙ্গে প্রতিদ্বন্ধি আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থী মোঃ জসীম উদ্দীন ও তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট রহিম মোহাম্মদ এ প্রতিবেদককে বলেন,হারামিয়ার নির্বাচন সম্পূর্ণ সুষ্ঠু,নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। হারামিয়ার প্রতিটি কেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসাররা এ প্রতিবেদককে বলেন,ভোট সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ফলাফল ঘোষণা অনুষ্ঠানে রিটার্নিং অফিসার রবিউস সারওয়ার বলেন,নির্বাচন অত্যান্ত সুস্থ ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে।কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার অভিযোগ আসেনি।নির্বাচনে ৫৮.৫৫% ভোটারের ভোট প্রদান স্বত:স্ফূর্ত নির্বাচন হয়েছে বলে প্রমান করে।নির্বাচনের ফলাফল হস্তান্তরের পর বিজয়ী প্রার্থী জসিম উদ্দিন তার অনুভুতি বক্তব্য বলেন জনগন অবকাঠামো সহ সকল উন্নয়নের পক্ষে রায় দিয়েছে তাই আমি হারামিয়া ইউনিয়নে সর্বোচ্চ উন্নয়ন করে দেখাবো।ভোটারদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
অন্যদিকে মগধরা ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য পদের প্রার্থী মোঃ ওমর ফারুক (মোরগ মার্কা) সকাল থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত প্রতিপক্ষ প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীর কর্মীদের পক্ষ থেকে প্রবল চাপের মুখে ঘর থেকে বের হয়ে নির্বাচনী কেন্দ্রে যেতে পারেননি বলে ফেইসবুকে নির্বাচন বর্জনের স্টেটাস দিলেও ভোটার ও প্রশাসনিক লেভেল থেকে সুস্থ্য নির্বাচন হয়েছে বলে দাবী করেন সকলে।
এ ব্যাপারে সার্বক্ষনিক দায়িত্বে নিয়োজিত সন্দ্বীপ থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন এ কেন্দ্রে সকাল থেকেই অনেক গণমাধ্যমকর্মী,পুলিশ ফোর্স,মোবাইল টিম সতর্ক অবস্থানে ছিলো কেন্দ্রের নিরাপত্তায় কোন ঘাটতি ছিলো না। প্রার্থী যদি না আসে তার লোকজন যদি কেন্দ্রে না থাকে সে দায় কি আমাদের।
এ ছাড়া ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী মোঃ রাকিব (ফুটবল মার্কা) বলেন,ভোটাররা স্বত:স্ফূর্তভাবে ভোট কেন্দ্রে এসে নিজ নিজ ভোট প্রয়োগ করেছে। এখানে প্রভাব বিস্তারের কোন সুযোগ ছিল না।
এদিকে সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলাকালে হারামিয়া ইউনিয়নের ৯টি কেন্দ্র সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে বেশির ভাগ কেন্দ্রেই নারীদের উপস্থিতি পুরুষের তুলনায় বেশি ছিল।ভোটাররা ছিলো শংকাহীন ও উৎসব মুখর।