সন্দ্বীপে ২১ শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা ও জাতীয় শোক দিবসে শাহাদাৎ বরনকারীদের স্মরনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
বাদল রায় স্বাধীনঃ সন্দ্বীপ পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের উদ্যোগে ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় ও ১৯৭৫ সালে জাতীয় শোক দিবসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ শাহাদাত বরণকারী সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে।
আজ ২১ আগষ্ট বিকাল তিনটায় পৌরসভা ৩ নং ওয়ার্ডস্থ বাতেন মার্কেটে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন সন্দ্বীপ পৌরসভা আওয়ামীলিগের সুযোগ্য সভাপতি মোক্তাদের মাওলা সেলিম।বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌরসভা আওয়ামীলিগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক ফছিউল আলম ফছি।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সন্দ্বীপ উপজেলা ছাত্রলীগের সংগ্রামী সভাপতি মাহফুজুর রহমান সুমন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি ও শোকসভা উদযাপন কমিটির আহব্বায়ক মোঃ ফয়সাল উদ্দিন।অনুষ্ঠান সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন পৌরসভা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রানা।
সভায় ২১ শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা ও ৪৫ তম জাতীয় শোক দিবসের উপর বক্তব্য রাখেন পৌরসভা আওয়ামীলিগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ওমর ফারুক,পৌর কমিশনার আলাউদ্দিন বাবলু,যুবলীগ নেতা আরিফুল ইসলাম,মাকছুদের রহমান জাবেদ,৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলিগের সভাপতি আব্দুল বাতেন ও সাধারন সম্পাদক দিদার বাঙ্গালী সহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
সভায় প্রধান অতিথি পৌরসভা আওয়ামীলিগ সভাপতি মোক্তাদের মাওলা সেলিম বলেন ইতিহাসের ভয়াবহতম গ্রেনেড হামলার ১৬তম বার্ষিকী আজ।এই দিনে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী শান্তি সমাবেশে নারকীয় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়,মূলত আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করতে বিএনপি-জামায়াত তথা চার দলীয় জোট সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে এ নৃশংসতম গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিলো।
বিশেষ অতিথি পৌর আওয়ামীলিগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফছিউল আলম ও প্রধান বক্তা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান সুমন বঙ্গবন্ধুর শিশু কিশোর বেলা থেকে রাজনৈতিক ও মানবিক আদর্শের কথা উল্লেখ করে বলেন বঙ্গবন্ধুকে নিঃশংস্ব ভাবে হত্যা করে ক্ষান্ত হয়নি ১৬ বছর আগে ২০০৪ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষ স্থানীয় কয়েকজন নেতাকে হত্যার চেষ্টা করলে সেদিন অল্পের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা এই ভয়াবহ হামলা থেকে বেঁচে গেলেও মহিলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক বেগম আইভি রহমান ও অপর ২৪ জন এতে নিহত হন।এছাড়া এই হামলায় আরো ৪শ’ জন আহত হন।আহতদের অনেকেই চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন।তাদের কেউ কেউ আর স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাননি।একুশে আগস্টের শান্তি সমাবেশে শেখ হাসিনার বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে আকস্মিক গ্রেনেড বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলে মারাত্মক বিশৃঙ্খলা,ভয়াবহ মৃত্যু ও দিনের আলো মুছে গিয়ে এক ধোঁয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ সৃষ্টি হয়।ঢাকার তৎকালীন মেয়র মোহাম্মদ হানিফ এবং শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী তাৎক্ষণিকভাবে এক মানব বলয় তৈরি করে নিজেরা আঘাত সহ্য করে শেখ হাসিনাকে গ্রেনেডের হাত থেকে রক্ষা করেন।
কিন্ত এখনো সে হায়েনার দলেরা বিভিন্ন সময়ে সুযোগ খোঁজে বেড়াচ্ছেন। তাই আওয়ামীলিগ,ছাত্রলীগ সহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকলকে সদা তৎপর থাকতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনাকে রক্ষায় অতন্ত্র প্রহরীর ভুমিকা গ্রহন করে আওয়ামী রাজনীতি শক্তিশালী করনে জাতীয় শোক দিবসকে শক্তিতে রুপান্তর করতে এ অায়োজনকে সাধুবাদ জানাই।