সন্দ্বীপ গুপ্তছরা ঘাটে জনস্বার্থে নির্মিত ড্রামের ব্রিজ অকার্যকর
দ্রুত কাঠের ব্রীজ দেয়া আশ্বাস বিআইডব্লিউটিএর।
সন্দ্বীপ উপজেলার চার লক্ষ মানুষ প্রতিদিন নানা কাজে যেতে হচ্ছে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্হানে।সন্দ্বীপ থেকে যাওয়া একমাত্র উপায় হচ্ছে নৌ-পথএই দ্বীপের চারপাশে ৮-১০টি ঘাট থাকলে ও ৯৫ ভাগ মানুষ কুমিরা-গুপ্তছড়া ঘাট ব্যবহার করে থাকেন দুপাশে রাস্তা ভালো থাকার কারণে।
প্রাকৃতিক সমস্যার কারণে বছরের পর বছর কাঁদা মাড়িয়ে নদী পার হওয়া নতুন কিছু নই,তবে আধুনিক যুগে এটা বাংলাদেশের মধ্যে শুধু সন্দ্বীপের মানুষ মেনে নিচ্ছে।হাটু সমান কাঁদা,কোমড় সমান পানি উপেক্ষা করেই চলাচল করতে হয় সবসময়।
এথেকে বাঁচতে ২০১০ সালে ১৫ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত হয়,২০১৭ সালে ৪৭ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত হয় আরেকটি জেটি।বার বার ব্রীজের পাশে নদী খনন,জেলা পরিষদের ইজারাদারের কয়েকবার কাঠের ব্রীজ দেয়া কোনটি যেন দুর্ভোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।সন্দ্বীপের মানুষের ঘাট ব্যবহারে দুর্ভোগ যেন নিত্য দিনের সঙ্গী।সর্বশেষ গত সপ্তাহে ঘাট ইজারাদারের উদ্যেগে দেয়া হয় ড্রামের ব্রীজ।কিন্তু সেটাও অকার্যকর।
সরেজমিনে গুপ্তছড়া ঘাটে দেখা যায়,কোমড় পানিতে নেমে যাত্রীদের উঠানামা করতে হচ্ছে নৌ-যানে।ঠিক সেই আগের মতোই।প্রথমে হাঁটু পরিমাণ পানিতে নেমে ছোট নৌকায় উঠতে হয়,এরপর আবার ছোট নৌকা থেকে সার্ভিস বোটে উঠতে হয় যাত্রীদের।এই কষ্ট যেন সন্দ্বীপবাসীর নিত্য দিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে বছরের পর বছর ধরে।কোনক্রমেই দুঃখ লাগব হচ্ছে না সন্দ্বীপবাসীর।এর শেষ কোথায় তাও জানা নেই।
যাত্রীদের দাবী দেশীয় এক্সপার্ট টীম দিয়ে না হলে বিদেশী এক্সপার্ট টীম দিয়ে হলেও সন্দ্বীপের নৌ-রুটের উঠানামার বিষয়টি দ্রুত সমাধান উচিত।
ঘাট ইজারাদারের উদ্যেগে নির্মিত ড্রামের ব্রিজের অবস্থা জানতে সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিগ্যান চাকমা গুপ্তছড়া ঘাটে গিয়ে ব্রীজ পরিদর্শন করেন।সেখানে গিয়ে দেখা যায় ড্রাম দেয়া ব্রীজ জেটির সাথে সংযুক্ত নেই।জোয়ারে অনেক দুরে চলে গেছে।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসির চট্টগ্রাম বিভাগের উপপরিচালক গোপাল চন্দ্র মজুমদার বলেন,ড্রামের কোন কাজ আমাদের নই,আমাদের কাজ জাহাজ চালানো।আমরা জাহাজের বিষয়ে বলতে পারবো।
বিআইডব্লিউটিএর চট্টগ্রাম বিভাগের উপপরিচালক কামরুজ্জামান জানান,ড্রামের ব্রীজ নই আমাদের পল্লী পাইলিং করে দেয়া হবে।ড্রামের ব্রিজ যেটা করা হয়েছে সেটা ইজারাদার নিজ উদ্যেগে করছে।সে জনস্বার্থে তার মতো করে করছে।আমার পাইলিং চলে গেছে, কাল থেকে আমাদের কাঠের ব্রীজের কাজ শুরু হয়ে যাবে।তবে কত টাকা ব্যায়ে সেটা আমার জানা নেই,এটা ইঞ্জিনিয়ার ডিপার্টমেন্ট জানে।