চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের মনসাদ হাজী সড়কের উপর প্রায় ২০ হাজার মানুষের চলাচল।পাকা সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো।এতে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ রোগীদের নিয়ে স্বজনদের পড়তে হয় বিপাকে।এ সাঁকোতে প্রায় ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।দীর্ঘদিন ধরে স্থানটিতে নতুন ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানানো হলেও আজকাল বলে ১৮ বছর কাটিয়ে দিয়েছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।
বর্তমানে সন্দ্বীপ একটি আধুনিক দ্বীপে পরিণত হতে যাচ্ছে।একদিকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আখ্যায়িত হয় সন্দ্বীপ,ঠিক তখনই ভিন্ন চিত্র দেখা যায় সন্দ্বীপের শহর নামে খ্যাত পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের মনসাদ হাজি সড়ক ও সংযোগ ব্রীজটি দেখলে।
২০০৫ সালে ভেঙে যাওয়া ব্রিজটি সংস্কার না হওয়ায় গ্রামবাসীদের উদ্যোগে বাঁশ সংগ্রহ করে মনসাদ হাজী সড়কের খালের ওপর নির্মাণ করা হয় প্রায় ১০০ মিটার দৈর্ঘ্যের বাঁশের সাঁকো।পাকা ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে প্রতিবছরই গ্রামবাসী বাঁশ সংগ্রহ করে নিজেরাই মেরামত করেন সাঁকোটি।বর্তমানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নড়বড়ে এই সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন স্কুল-মাদরাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েকশ শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন বয়সের শত শত মানুষকে পারাপার হতে হয়।এতে প্রতিদিন ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
এদিকে এলাকা বাসী বলছে,২০০৫ সালে ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার পর থেকে গত ১৮ বছরে অনেকবার নির্বাচনের আগে ব্রিজটি করার কথা দিলেও এখন পর্যন্ত কোন মেয়রই এক ব্রিজটি করেননি।কোন মেয়রই তাদের দেওয়া কথা রাখেননি।তাই দ্রুত নতুন ব্রিজ করার জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে সন্দ্বীপ পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম বলেন,১৫-১৬ বছর ধরে কাজ হচ্ছে না এটা ঠিক।তেমন কোন বরাদ্দ ছিলো না।
তবে এ সেতু সহ কয়েকটি সেতুর জন্য স্হানীয় সরকারের যে প্রজেক্ট রয়েছে সেখানে জমা দিয়েছি।আশাকরি এবার হয়ে যাবে।অলরেডি সার্ভে করা হয়েছে।
এবিষয়ে সন্দ্বীপ পৌরসভার পৌর প্রশাসক তাসফিক সিফাত উল্ল্যাহ বলেন,গত ১৫-১৬ বছর কেন হয়নি আমি সেবিষয়ে বলতে চাইনা।আমি গত মাসে দায়িত্ব নিয়েছি।নগর পরিচলন ও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প থেকে সেতুটি করা হবে।আপনারাও আমাদের সহযোগিতা করুন।
দীর্ঘ দিন ধরে নির্বাচনের আগে আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন জন প্রতিনিধিরা কিন্তু নির্বাচনের পরে আর দেখার কেউ থাকেনা।বর্তমান পৌর প্রশাসকের কাছে ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।