সন্দ্বীপ সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সহকারী ও তার স্ত্রীর কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে দুদকের মামলা।
সন্দ্বীপ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সহকারী মাহফুজুর রহমানের স্ত্রী দিলুয়ারা মাহফুজ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।স্বামী মাহফুজুর রহমানের অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়েই তিনি বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন।এ ঘটনায় এ দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক।
গতকাল দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এ মামলাটি দায়ের করেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর উপসহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান চৌধুরী।দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপ-পরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাত আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়,দিলুয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের একটি অভিযোগের অনুসন্ধান করা হয়।এতে দিলুয়ারা মাহফুজ ও তার স্বামী মাহফুজুর রহমানের জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি প্রমাণিত হয়।
এরপর তাদেরকে তাদের পৃথক পৃথক সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়।এরই ধারাবাহিকতায় দিলুয়ারা মাহফুজ গত বছরের ১৬ এপ্রিল তার সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। সম্পদ বিবরণীতে ৮ লাখ টাকার স্থাবর এবং ৪৩ লাখ ১৮ হাজার ৬২৫ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৫১ লাখ ১৮ হাজার ৬২৫ টাকার স্থাবর অস্থাবর সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেন তিনি।যাচাই করলে দেখা যায়,সম্পদ বিবরণীতে তিনি ৩ লাখ ৭৯ হাজার ২১ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য অসৎ উদ্দেশ্যে গোপন করে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন।
এজাহারে বলা হয়,ব্যয়সহ দিলুয়ারা মাহফুজের মোট অর্জিত সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ২০ লাখ ৭ হাজার ৮৪৬ টাকা।উক্ত সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তার বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস পাওয়া গেছে ১৩ লাখ ৫ হাজার ১০০ টাকা।এক্ষেত্রে তার অর্জিত সম্পদের চেয়ে তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ পাওয়া গেছে ১ কোটি ৭ লাখ ২ হাজার ৭৪৬ টাকার।
তিনি তার স্বামী আসামি মাহফুজুর রহমানের সহযোগিতায় অসঙ্গতিপূর্ণ উক্ত সম্পদ অসাধু উপায়ে অর্জন করে ভোগ দখলে রেখেছেন।মূলত মাহফুজুর রহমানের বিভিন্ন সময়ের অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে তার স্ত্রী দিলুয়ারা মাহফুজ বিপুল পরিমাণের এ সম্পদ গড়েছেন।
দুদক সূত্র জানায়,সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে সন্দ্বীপের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সহকারী মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী দিলুয়ারা মাহফুজ দুদক আইন ও দণ্ডবিধি অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
দুদক সূত্র আরো জানায়,মাহফুজুর রহমান সন্দ্বীপের আগে ফটিকছড়ির নানুপুর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সহকারী ছিলেন।তার বাড়ী পটিয়ার কালারপোল এলাকায়।