সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে-৫০০টাকায় কুমিরা-গুপ্তছড়া ঘাটে যাত্রী পারাপার।

0 ২২২

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সারাদেশের মানুষ যখন করোনা আতঙ্কে আতঙ্কিত,চারিদিকে মৃত্যুর মিছিল,লকডাউন চলতেছে ঠিক এই সময়ে কুমিরা-গুপ্তছড়া ঘাটে চলছে রমারম ব্যবসা।ভোর চারটা থেকে সাতটা পর্যন্ত যাত্রী পারাপার করে যাচ্ছে কুমিরা-গুপ্তছড়া ঘাট দিয়ে।এই লকডাউনে কিছু মানুষ বিপদে পড়ে চট্টগ্রাম আসা যাওয়া করতে হয় ঠিক এই সময়টা বেছে নিয়েছে কুমিরা-গুপ্তছড়া ঘাট পরিচালনা কমিটি।প্রতিজনকেই পাঁচশত(৫০০)টাকা করে গুনতে হয় নদী পারাপারে।

আজ ভোর চারটায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,ভোর চারটা থেকে স্পীডবোড দিয়ে যাত্রী পারাপার করছে।তাও আবার জনপ্রতি পাঁচশত(৫০০)টাকা করে।সরকারি বিধি নিষেধের তোয়াক্কা না করে ডাবল ভাড়া নিয়ে যাত্রী পারাপার করা আদৌও কতটুকু যুক্তিসঙ্গত জবাব দিতে পারেননি কেউ।এছাড়া অতিরিক্ত ভাড়ায় মালের বোডেও যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বন্ধ করতে সরকারের অনেক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে নৌ-পথ বন্ধ এটাও একটা।কিন্তু আদৌও নৌ-পথ বন্ধ হয়নি।উপজেলা সন্দ্বীপের মানুষ নানা অজুহাতে চট্টগ্রাম আসা-যাওয়া করতে হয় বলেই সেই সুযোগে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ঘাট মালিক।জনপ্রতি পাঁচশত(৫০০) টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন দুইজন স্পীডবোড চালক।

এইদিকে ঘাট মালিকের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।ঘাটের অন্য লোকজনের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন শুধু রোগী যাচ্ছে কিন্তু সরেজমিনে রোগী ছাড়াও অনেক লোকজন পারাপার করতে দেখা গেছে।একটা স্পীডবোডে ২০জন যাত্রী হলে একজন রোগী বাকী সব যাত্রী।লকডাউনের সময়ে প্রতিদিন ভোর চারটা থেকে সাতটা পর্যন্ত স্পীডবোড চলার কথা স্বীকার করেছেন স্পীডবোডের দুইজন চালক।

অন্যদিকে চট্টগ্রামের হালিশহর নয়াবাজার,সবুজবাগ,মৌসুমি আবাসিক এলাকা রেডজোন ঘোষণা করেছে হালিশহর থানা পুলিশ।সন্দ্বীপের বেশিরভাগ মানুষ বসবাস করে চট্টগ্রামের হালিশহরে তাই চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ নৌ-পথ বন্ধ না রাখলে সন্দ্বীপ করোনা ঝুঁকিতে পড়তে পারে।সন্দ্বীপে বর্তমানে করোনা পজিটিভ নেই বললেই চলে।কিন্তু এইভাবে নৌ-পথ চললে সন্দ্বীপেও করোনা বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হতে পারে।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বন্ধের জন্য চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ নৌ-পথ বন্ধের নির্দেশ থাকলে কর্যকর করা হচ্ছে না কেন এই বিষয়ে কারো কোন সঠিক বক্তব্য নেই।অতিসত্বর নৌ-পথ বন্ধ না করলে সন্দ্বীপেও চট্টগ্রামের মত করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভবনা আছে।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!