জসিম উদ্দিন (রুবেল):চট্টগ্রামঃ শান্তিময় বিশ্ব আমাদের কাম্য”এই শ্লোগানকে ধারণ করে সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট, হিউম্যান রাইটস এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্ব শান্তি দিবস উদযাপন করেছে।আজ কক্সবাজারের আলির জাহালস্থ সাব- অফিসে সিইএইচআরডিএফ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সিইএইচআরডিএফ এর প্রধান নির্বাহী মোঃ ইলিয়াছ মিয়া।
সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার হাশেমিয়া কামিল মাদরাসার ছাত্র, সমাজকর্মী ও ধর্মীয় আলোচক মিজানুর রহমান এবং হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের শিক্ষক পরিমল কান্তি দে। বক্তারা বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সকল মানুষের শান্তির জন্য ধর্ম ও শান্তির অবদান তুলে ধরেন।এছাড়াও সকল ধর্মের ধর্মীয় আলোচকরা শান্তিময় সমাজ,দেশ ও বিশ্ব গঠনের জন্য ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা করেন। মনীষা-নারী জাগরণ কেন্দ্র সমন্বয়ক নাসিমা আকতার পিংকি’র সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও প্রোগ্রাম পরিচালক রুহুল আমিন।
স্বাগত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠায় তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।
সকলকে হিংসা, বিদ্বেষ, নির্মমতা বাদ দিয়ে ভারসাম্যপূর্ণ একটি সমাজ গঠনে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান করেন।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিইএইচআরডিএফ এর পরিচালক(জনশক্তি) রিদুয়ানুর রহমান বলেন, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট হিউম্যান রাইটস এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম সমাজে শান্তির পরিবেশ আনয়ন করতে সবসময় অবদান রেখে যাচ্ছে এবং সেটা অব্যাহত থাকবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিইএইচআরডিএফ এর পরিচালক(কো-অর্ডিনেশন) আব্দুল মান্নান রানা বলেন, সিইএইচআরডিএফ সবসময় সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে তাদের কার্যক্রম অব্যহত রাখতে এবং একটি সাম্য ভিত্তিক সমাজ গঠনে সিইএইচআরডিএফ এর কার্যক্রম চলমান রাখবে।সরকারকে দেশের শান্তি প্রতিষ্ঠায় তাদের কার্যক্রম আরও বেগবান করার আহবান করেন।
এছাড়াও দেশের ধনীদের প্রান্তিক সমাজের কল্যাণে এগিয়ে আসতে আহবান করেন।
সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনটির প্রধান নির্বাহী মোঃ ইলিয়াছ মিয়া বলেন, বর্তমানে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের অবদান অনস্বীকার্য। জাতিসংঘ শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যক্রমকে অব্যাহত রাখতে সকলকে নিজ নিজ জায়গায় থেকে এগিয়ে আসতে আহবান রাখেন।
তিনি বলেন,তরুণরা-ই পারে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সব থেকে বড় ভুমিকা পালন করতে। তরুণদের মানবিক তরুণ হয়ে দেশ ও দশের সেবার এগিয়ে আসার জন আহবান করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিইএইচআরডিএফ এর উপ-সহকারী পরিচালক(সামাজিক অন্তর্ভুক্তি) চন্দন কান্তি দে।
বক্তব্য রাখেন পাঠাগার আন্দোলন ব্যবস্থাপক সাগর নাথ, মাইনরিটি ফোরাম সমন্বয়ক রাকবি বর্ণিক, রামু ফোরাম সমন্বয়ক আরিয়ান ইসলাম বাপ্পী।
এতে মিডিয়া সম্পাদক নজুম উদ্দিন, পানি ফাউন্ডেশন সমন্বয়ক নুরুল আবছার, আব্দুল নবী, সমন্বয়ক মহেশখালী ফোরাম, ঈদগড় ফোরাম সমন্বয়ক নজিবুল হক, মহেশখালী ফোরাম সমন্বয়ক আব্দুল নবী, মাতারবাড়ী ফোরাম ব্যবস্থাপক আব্দুল মোমেন, ধলঘাটা ফোরাম সদস্য আবু মুসা, সদস্য রোমানা আকতার,সদস্য নাদিয়া আকতার,সদস্য মাইয়েশা আকতার,সদস্য আদিবা আকতার প্রমুখ।