সীতাকুন্ড ( চট্রগ্রাম) প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট জেলেপাড়ায় কয়েকটি জেলে পরিবারের উপর হামলা ও দোকানপাটে অগ্নিসংযোগের ঘঠনায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের নামে চট্টগ্রাম আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
গত ১৩ অক্টোবর বিকালে সাগরে থাকা লালমোহন দাসের কিছু জাল লক্ষ্মী দাস ও তার লোকজন কেটে সাগরে ভাসিয়ে দেয়।পরে বিষয়টি স্থানীয় মেম্বার মোঃ আরজু ও স্থানীয় চেয়ারম্যান মোঃ সালাউদ্দিন আজিজ এবং ফোজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ি কে অবহিত করলে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।এতে লক্ষ্মী দাস এবং ক্ষুদিরাম ক্ষুব্দ হয়ে রাত সাতটার দিকে লক্ষ্মী দাস এবং তার পরিবারের ওপর এ হামলা চালায়।
উক্ত হামলায় লতাবাশি,বুনু দাস,রুপা দাস সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়।পরবর্তীতে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।এ বিষয়ে লালমোহন দাস বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।গত ১৫ অক্টোবর দিবাগত রাত আনুমানিক তিনটার সময় লাল মোহন দাস এর চায়ের দোকান লতা বাসিার জালঘর সহ বেশ কয়েকটি ঘরে আগুন দিয়ে পুয়ে দেয়।এতে প্রায় তিন লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
উল্টো পরিবারটিকে হয়রানি করার জন্য লক্ষ্মী দাস বাদী লাল মোহন দাসের চায়ের দোকান নিজের বলে চট্টগ্রাম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবারটি।ফৌজদারহাট জেলেপাড়ার সর্দার পরিমল ও গুরা বাঁশি জানান, সাগরের জাল বসানো কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘঠনা ঘঠে।দুই পক্ষের কেউ তাদেরকে বিষয়টি অবহিত করেননি,ঘঠনার দুদিন পর লালমোহনের দোকান ঘর এবং লতা বাসির জাল ঘর কে বা কারি পুড়িয়ে দেয়।বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের পর জানা যাবে কে বা কারা দোকান ঘরে আগুন দিয়েছে।আমরা আমাদের সকল সর্দাকে নিয়ে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করছি।
লক্ষ্মী দাস এর মা (রবি বালা) জানান,লালমোহন থানায় আমার বিরোদ্ধে মামলা করায় আমরা আদালতে মামলা দায়ের করি।এই বিষয়ে সীতাকুন্ড মডেল থানা ওসি তদন্ত সুমন বর্ণিক জানান,লাল মোহন দাশ বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে সীতাকুন্ড মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।