নোয়াখালীর দ্বীপ হাতিয়া উপজেলার তমরদ্দি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পশ্চিম ক্ষিরোদিয়া গ্রামের হাজেরা বেগমের পরিবার আওয়ামীলীগের সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
নোয়াখালীর দ্বীপ হাতিয়া উপজেলাধীন তমরদ্দি ইউনিয়নের পশ্চিম ক্ষিরোদিয়া গ্রামের ১ নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা হাজেরা বেগম এর পরিবার দীর্ঘ ৩৭ বছর ধরে আওয়ামীলীগ করে আসছে। কিন্তু তার পরিবার আওয়ামীলীগের সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তার পরিবার ১৯৯১ সাল থেকে বিএনপির আমলে এসিড মারা মামলা,সন্ত্রাসী মামলা,নারী নির্যাতন মামলা, ইফটেজিং মামলা,মাডার মামলাসহ মোট ২৭ টি মিথ্যা মামলার আসামি হয় ঐ পরিবারের সন্তানগণ এমনকি ৭৭ বয়সে হাজেরা বেগম দুটি মাডার মামলায় ২ নং আসামী যুক্ত হন এবং বিএনপির আমলে তার মেজো মেয়ে সালেহা বেগম এর একটি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে চাকুরী করতেন এদিকে সে শারীরিক ভাবে অসুস্থ্য হওয়ায় ছুটি নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক থেকে পরে তাকে চাকুরীতে আর যোগদান করতে দেয়নি স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। ফলে চাকুরীটা চলে যায়।প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়নি।ছোট মেয়ে ছাবিনা ইয়াছমিন বিএ পাস করে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে রেজিষ্ট্রেশন ভুক্ত ক্ষিরোদিয়া শহিদিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসাতে চাকুরী করে আসছে কিন্তু তার বেতন আজও হয়নি। কারণ বিএনপির আমলে বেতন বন্ধ করে দেয় তার প্রধান শিক্ষক। তবে চাকুরী আছে বেতন নেই। এছাড়া ছোট ছেলে মোঃএনায়েত হোসেন বিএ পাস করে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে চাকুরী করতেন কিন্তু জাতীয়করণ কালে তার চাকুরীটা চলে যায়।পরে ছোট ছেলের তমরদ্দি হাই স্কুলে অফিস সহায়ক পদে চাকুরী হয় কিন্তু ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নেন।পরে সে আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান যেনে, তাকে যোগদান পত্র না দিয়ে অন্য একজনকে দেয় টাকা নিয়ে। তার টাকা গুলো আর ফিরিয়ে দেয়া হয়নি।
বর্তমানে তাদের বাড়ীর যে জায়গা রয়েছে ঐ জায়গাটাও অন্য একজনের দখলে। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কোটে মামলা করে রায় পাওয়ার শর্তেও এখন দখল ছাড়তেছে না সন্ত্রাসী ঘাটের লেবার নেছার উদ্দিন ও তার সন্ত্রাসী চার ছেলে। ঐ জায়গাটা নিয়ে বিভিন্ন ভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে হাজেরা বেগম এর পরিবার। এ পর্যন্ত প্রায় বাড়ীর জায়গা নিয়ে মামলা মোকদ্দমাতে ৬ লক্ষ টাকা খরচ হয় এবং ঘরের সোলার প্যানেল ভেঙে দেয়। তারা সমাজের সকল ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত।সেই ১৯৯১ -২০২২ সাল পর্যন্ত মোট জমি জমা,ট্রলার,পাওয়ার ট্রিলার সহ বিক্রি করে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকার। বর্তমানে তাদের পরিবারের নামে একটি মামলা রয়েছে হাতিয়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে।
সরজমিনে গিয়ে আওয়ামীলীগ পরিবারের হাজেরা বেগম এর ছোট ছেলে মোঃএনায়েত হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,২০০৮ সালে বাংলাদেশের প্রথম চায়না অস্ত্রের উপজেলা আনসার প্রশিক্ষক হিসেবে ট্রেনিং করে আসার পর হাতিয়া উপজেলায় সে ১৪ বছর যাবৎ সেচ্ছাসেবক আনসার প্রশিক্ষক হিসেবে শ্রম দিয়ে আসছে বেতন ছাড়াই। পাশাপাশি সে টিউশনি করে সংসার চালিয়ে যাচ্ছে। তার একটাই দুঃখ আওয়ামীলীগ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেও আজও মিলেনি একটা সরকারি চাকুরী।
এছাড়া হাজেরা বেগম জানান,তার চার ছেলে ছিল আওয়ামীলীগের ত্যাগি নেতাকর্মী,বড় ছেলে মোঃ ইসমাইল ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক,ছোট ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ক্রিড়া সম্পাদক,ছোট মেয়ে ছাবিনা ইয়াছিন উপজেলা শ্রমিকলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক,এছাড়া তার দুই ছেলে রাজনৈতিক করতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত মৃত্যু বরণ করেন।
অবশেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আওয়ামীলীগ পরিবার হাজেরা বেগম এর একটাই দাবি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেন তার পরিবারের সকল দুঃখের কথা গুলো শুনে একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এবং তার একটাই দাবি ছোট মেয়ে ছাবিনা ইয়াছিনের বেতন চালু করা হোক আর ছোট ছেলেটাকে হাতিয়া উপজেলা সেচ্ছাসেবক আনসার প্রশিক্ষক থেকে সরকারি ভাবে উপজেলা আনসার ও ভিডিপি অফিসার পদে নিয়োগ করা হোক। তাহলে মনে করবো আওয়ামীলীগ করে জীবনে সব কিছু হারিয়ে আবার একটা নতুন জীবন ফিরিয়ে পেলাম।