১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসের পাশাপাশি আজ সুন্দরবন দিবস

0 ৪২,৯৪৭

১৪ ফেব্রুয়ারি, পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসের পাশাপাশি আজ সুন্দরবন দিবস।তাই প্রিয়জনকে ভালোবাসার সঙ্গে সঙ্গে ভালোবাসুন সুন্দরবনকে।সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সুন্দরবন দিবস পালন করা হয়।২০০১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের আওতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়,খুলনার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রূপান্তর ও পরশের উদ্যোগে এবং দেশের আরও ৭০টি পরিবেশবাদী সংগঠনের অংশগ্রহণে প্রথম জাতীয় সুন্দরবন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সেই সম্মেলনে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‘সুন্দরবন দিবস’ ঘোষণা করা হয়। সেই হিসাবে এবার পালিত হচ্ছে ২১তম সুন্দরবন দিবস। সমুদ্র উপকূলবর্তী নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন হিসেবে সুন্দরবন বিশ্বের দরবারে পরিচিত।সুন্দরবন ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এর মোট আয়তন ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশ অংশের আয়তন প্রায় ৬ হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার। সুন্দরবন রয়েছে ৫ হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ,১৯৮ প্রজাতির উভচর প্রাণী, ১২৪ প্রজাতির সরীসৃপ,৫৭৯ প্রজাতির পাখি, ১২৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী ও ৩০ প্রজাতির চিংড়ি মাছ রয়েছে।

তবে,নামমাত্র সুন্দরবন দিবস বা বইয়ের পাতায় লিখা থাকলেই হবে না।সুন্দর বনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারকে বাঁচাতে,সুন্দরবনকে বাঁচাতে সবার এগিয়ে আসতে হবে।সরকারকে এ ব্যাপারে আরো তৎপর হবে হবে।এছাড়া চোরাকারবারি, পশুপাখি শিকারী, ভূমিখোরদের থেকে সুন্দরকে বাঁচাতে হবে।বিভিন্ন সেমিনার,আলোচনা সভার মাধ্যমে সুন্দরবনের তাৎপর্য প্রান্তিক মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।জলবায়ু পরিবর্তন ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাওয়া মারাত্মক হুমকির।এজন্য সুন্দরবনের আশে পাশে শিল্পকারখানা বন্ধ রেখে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিতে হবে।সুন্দরবনের সৌন্দর্য মানুষের মাঝে তুলে ধরতে হবে। তাহলেই প্রিয় এই সুন্দরবনকে রক্ষা করা সম্ভব।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!