অতিরিক্ত জোয়ারে হাতিয়ার ২১টি গ্রাম প্লাবিত

0 ১৮১

জসিম উদ্দিন রুবেল :চট্টগ্রামঃ জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে হাতিয়ার অনেক এলাকা।অমাবস্যার কারণে অস্বাভাবিক জোয়ারে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ৫টি ইউনিয়নের ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে এসব ইউনিয়নে বসবাসকারী প্রায় ১০ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

স্থানীয়রা জানায়, গত তিনদিন ধরে অব্যাহত অস্বাভাবিক জোয়ারে হাতিয়ার সূখচর, নলচিরা, চরকিং, চরঈশ্বর ও তমরদ্দি ইউনিয়নের ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ভেসে গেছে মানুষের ঘরবাড়ি, গবাদিপশু, পুকুরের মাছ ও ফসলি জমি। শুক্রবার থেকে প্রতিদিন দিনে ও রাতে জোয়ারের কারণে অধিকাংশ সময় পানিতে তলিয়ে থাকছে এসব এলাকা। অনেকের দৈনন্দিন রান্নার কাজ ব্যহত হওয়ায় অনাহারে অর্ধাহারে দিন যাপন করতে হচ্ছে।

উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম মহব্বত বলেন, আম্পানে আমার এলাকার কলেজ গেইট থেকে মাইজচা মার্কেট রাস্তাটি ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। এলাকাবাসীর সহযোগীতায় তা মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করা হয়। কিন্তু রোববার রাতের অস্বাভাবিক জোয়ারে তা আবার ভেঙে যায়। একই অবস্থা সূখচর ও নলচিরা ইউনিয়নে। তমরদ্দি ইউনিয়ন এর পশ্চিম ক্ষিরোদিয়া ও আঠারো বেকী অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে ডুবে যায়।
ভেসে গেছে অনেকের গরু ছাগল। তমরদ্দি ইউনিয়ন ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ছাইফুল মেম্বার বলেন সাধারণ মানুষের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে।

সূখচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বলেন, একমাস আগের জোয়ারে ইউনিয়নের সকল রাস্তা ভেঙে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তা এখনো মেরামত করা হয়নি। এখন আবার জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। পুরো সূখচর ৫-৬ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। একাধিকবার বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলার পরও কাজ হচ্ছে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম জানান, অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে অনেক এলাকা তলিয়ে গেছে। আমরা বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!