অবশেষে চট্টগ্রাম-৩(সন্দ্বীপ)আসনে বিএনপির মনোনয়ন চূড়ান্ত মোস্তফা কামাল পাশা।

চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ)সংসদীয় আসন ২৮০,এ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি)মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মোস্তফা কামাল পাশার নাম ঘোষণা করেছে দলটি।
বৃহস্পতিবার বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেন।
দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার অধিকারী মোস্তফা কামাল পাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে তার রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করেন।১৯৭৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি টানা চারবার রহমতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।পরে ১৯৯০ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হন।এরপর ১৯৯৬,২০০১ ও ২০০৮ সালে সন্দ্বীপ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।বর্তমানে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
মনোনয়ন ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মোস্তফা কামাল পাশা বলেন,আজই সন্দ্বীপের মানুষের বহু দিনের আশা পূরণ হয়েছে।এখন আমার একটাই লক্ষ্য সন্দ্বীপ আসনটি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উপহার দেওয়া।
মোস্তফা কামাল পাশা ধানের শীষের প্রতীক পাওয়ার পর আজ শুক্রবার সন্দ্বীপ যান।তিনি বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে এভার কেয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলেন।সন্দ্বীপের বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘাটে এসে তাকে বরণ করে নিয়ে যান।
এছাড়া সন্দ্বীপ উপজেলার প্রায়ই প্রতর্যেকটি মসজিদে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া মহফিল অনুষ্ঠিত হয়।মোস্তফা কামাল পাশাসহ নেতাকর্মীরা দোয়া মাহফিলে অংশ গ্রহণ করেন।
স্থানীয় বিএনপি নেতারা মনে করছেন,দীর্ঘদিন সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা এবং এলাকায় গ্রহণযোগ্যতার কারণে মোস্তফা কামাল পাসাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ায় সন্দ্বীপে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা দেখা গেছে।
আগামী নির্বাচনে এ আসনটিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করছে বিএনপি।মনোনয়ন ঘোষণার পর দলের মাঠ পর্যায়ের সংগঠনগুলো নির্বাচনী প্রস্তুতি আরও জোরদার করেছে।
গতকাল সন্দ্বীপ উপজেলা বিএনপির আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সন্দ্বীপ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলমগীর হোসাইন ঠাকুর বলেন,আজ থেকে সন্দ্বীপ উপজেলা বিএনপির মধ্যে আর কোন বিভাজন থাকবে না।নমিনেশন অনেকেই চাইলে পারে কিন্তু দল যাকে দিয়েছে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার জন্য তথা বিএনপিকে বিজয় করার জন্য কাজ করে যেতে হবে।
যারা নমিনেশন চেয়ে পাইনি তাদের উদ্দেশ্য করে তিনি আরো বলেন,এই ধানের শীষ প্রতীক জিয়াউর রহমানের,খালেদা জিয়ার,তারেক রহমানের এবং যারা নমিনেশন চেয়েছে তাদের নাম ধরে ধরে বলেন,এই ধানের শীষ মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টনের,তরিকুল আলম তেনজিং এর,রফি উদ্দিন ফয়সালের,ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেনের,এডভোকেট আবু তাহেরের,মোস্তফা কামাল পাশার আর তাই আজ থেকে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ।
উল্লেখ্য যে,ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২৩৭ আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম আগেই জানিয়েছিল বিএনপি।বৃহস্পতিবার বিকেলে আরও ৩৬টি আসনে নিজেদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলো দলটি।গতকাল ঘোষণার মধ্যে রয়েছেঃ
ঠাকুরগাঁও-২ আসনে আব্দুস সালাম,দিনাজপুর-৫ আসনে এ কে এম কামরুজ্জামান,নওগাঁ-৫ আসনে জাহিদুল ইসলাম ধলু,নাটোর-৩ আসনে আনোয়ারুল ইসলাম,সিরাজগঞ্জ-১ আসনে সেলিম রেজা টাঙ্গাইল-৫ আসনে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
যশোর-৫ আসনে এম ইকবাল হোসেন,নড়াইল-২ আসনে মনিরুল ইসলাম,খুলনা-১ আসনে আমির এজাজ খান।পটুয়াখালী-২ আসনে শহিদুল আলম তালুকদার,বরিশাল-৩ আসনে জয়নুল আবেদীন, ঝালকাঠি-১ আসনে রফিকুল ইসলাম জামাল।
ময়মনসিংহ-৪ আসনে আবু ওয়াহাব আখন্দ ওয়ালিদ, কিশোরগঞ্জ-১ আসনে মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে শেখ মজিবর রহমান ইকবাল।
মানিকগঞ্জ-১ আসনে এস এ জিন্নাহ কবির,মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে কামরুজ্জামান,ঢাকা-৭ আসনে হামিদুর রহমান, ঢাকা-৯ আসনে হাবিবুর রশিদ,ঢাকা-১০ আসনে শেখ রবিউল আলম,ঢাকা-১৮ আসনে এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন,গাজীপুর-১ আসনে মজিবুর রহমান, রাজবাড়ী-২ আসনে হারুন অর রশীদ।
ফরিদপুর-১ আসনে খন্দোকার নাসিরুল ইসলাম, মাদারীপুর-১ আসনে নাদিরা আক্তার,মাদারীপুর-২ আসনে জাহান্দার আলী খান,সুনামগঞ্জ-২ আসনে নাসির হোসেন চৌধুরী,সুনামগঞ্জ-৪ আসনে নুরুল ইসলাম,সিলেট-৪ আসনে আরিফুল হক চৈধুরী, হবিগঞ্জ-১ আসনে রেজা কিবরিয়া।
কুমিল্লা-২ আসনে সেলিম ভূঁইয়া, চট্টগ্রাম-৩ আসনে মোস্তফা কামাল পাশা,চট্টগ্রাম-৬ আসনে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী,চট্টগ্রাম-৯ আসনে মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান,চট্টগ্রাম-১৫ আসনে নাজমুল মোস্তফা আমীন ও কক্সবাজার-২ আসনে আলমগীর মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ।