ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরশহরের (৭) নং ওয়ার্ডের শান্তিনগর গ্রামে, গতকাল এই গ্রামের ৮০ বছরের বৃদ্ধা জোহরা খাতুন কে হত্যার রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ। পুলিশের দাবি – প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্যই বৃদ্ধা জোহরা খাতুনের নিজ ছেলে জমির খাঁ নিজের গর্ভধারিণী মাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন বলে আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
সোমবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে থেকে বিকাল পর্যন্ত জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জহিরুল ইসলামের আদালতে ঘাতক জমির খাঁ তার মাকে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। স্বীকারোক্তি শেষে জমির খাঁকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান
জানান, আখাউড়া পৌরশহরের শান্তিনগর গ্রামে বাড়ির সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত জমির খাঁর সঙ্গে তার চাচা প্রতিবেশী বজলু খাঁ দু’পক্ষের মাঝে বিরোধ ছিল। এই বিরোধের জেরে
জমির খাঁ এর প্রতিপক্ষ বজলু খাঁ ও তার লোকজনের নামে মিথ্যা মামলা হামলাসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছিলো। ওইসব কারণে প্রতিপক্ষ বজলু খাঁকে ফাঁসাতে তার মা কে হত্যার পরিকল্পনা করেন জমির খাঁ। গতকাল (২ রা জানুয়ারি) রোববার সকাল থেকে সম্পত্তির জের ধরে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। দুপুরের দিকে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে জমির খাঁ তার বৃদ্ধা মাকে দা দিয়ে মাথায় কুপিয়ে হত্যা করে, তার প্রতিপক্ষ বজলু খাঁ এবং তার লোকজনে হত্যা করেছে বলে প্রচার করতে থাকে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকাবাসীর বক্তব্য শুনার পর বিষয়টি সন্দেহ হয়। তখন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এসময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ জমির খাঁ সহ ২ পক্ষের বেশ কয়েক জন কে থানায় নিয়ে তদন্ত করলে খুনের আসল রহস্য উদঘাটিত হয়।
