আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস-২০২০ উপলক্ষে এইড ফর মেন ফাউন্ডেশন’র উদ্যোগে দিবসটি পালন

0 ২১৭

রাজিবুল ইসলাম রিয়াজঃ আজ ১৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস-২০২০ উপলক্ষে এইড ফর মেন ফাউন্ডেশন বিশ্বের ৮০ টি দেশের মতই নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশেও দিন ব্যাপি নানান কর্মসুচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করেছে।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সামনে সমবেত হয়ে ১০ঃ৩০ মিনিটে বেলুন উড়িয়ে দিবসের উদ্বোধন করা হয়। এরপর পুরুষ নির্যাতন প্রতিরোধে আইনের দাবিতে সংক্ষিপ্ত  শোভাযাত্রা করে ১১ টায় “নসরুল হামিদ মিলনায়তন” ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। “পুরুষ অধিকার রক্ষায় আইনের প্রয়োজনীয়তা শীর্ষক “আলোচনায় বক্তারা পুরুষের প্রতি বিভিন্ন বৈষম্যপূর্ণ আইনের মাধ্যমে নানাবিধ হয়রানি ও পুরুষ নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরেন।
খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে উক্ত উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ড. মোহাম্মদ নূর হোসেন এডভোকেট (আপিল বিভাগ সুপ্রিম কোর্ট), এডভোকেট কাউসার হোসাইন (সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী) এডভোকেট ইশরাত হাসান (সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী), সাবেক এমপি হুমায়ুন কবির হিরু মহিউদ্দিন আহমেদ, (সভাপতি-
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন) এ ছাড়াও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের সদস্য ও সমাজের বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তি, সাংবাদিক, আইনজীবী, ভুক্তভোগীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
সর্বশেষ পুরুষদের আইনি অধিকার ও পুরুষের মানবাধিকার রক্ষায় এইড ফর মেন ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নাদিম লিখিত ১৪ দফা দাবি উত্থাপন করেন।
১. অপহরণ : বিবাহের উদ্দেশ্যে বা প্রেম গঠিত কারণে ছেলে-মেয়ে উভয়ে পালিয়ে গেলে শুধুমাত্র ছেলে ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা হয়। এই কৃতকর্মের জন্য শুধুমাত্র ছেলের শাস্তি বিধান হওয়াটা অযৌক্তিক বিধায় তা বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। 
[বিবাহের উদ্দেশ্যে বা প্রেমঘঠিত কারণে কোনো ছেলে বা মেয়ে স্বেচ্ছায় পালিয়ে গেলে উক্ত ঘটনাকে অপহরণ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত না করা।]
২. পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও  সুরক্ষা) আইন ২০১০ এ সংযুক্ত ব্যক্তি হিসেবে শিশু ও নারীর পাশাপাশি পুরুষকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৩. বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে প্রাপ্তবয়স্ক নর-নারীর সম্মতিতে শারীরিক  সম্পর্ককে ধর্ষণ’ বলা যাবে না এবং এই ক্ষেত্রে যদি শাস্তি হয় তাহলে নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য শাস্তির বিধান থাকতে হবে।
৪. নারী ধর্ষণ ও শিশু ধর্ষণ আলাদা সংজ্ঞায় সংজ্ঞায়িত করে পুরুষ ধর্ষণের সংজ্ঞা তৈরি করে লিঙ্গনিরপেক্ষ ধর্ষণ আইন তৈরী করতে হবে।
৫. পারিবারিক জীবন ব্যবস্থা, সভ্য সমাজ ব্যবস্থা, ব্যক্তিগত আইন এবং পুরষদের মানবাধিকারের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দেশীয় আইনে পশ্চিমা সংস্কৃতিতে সৃষ্ট তথাকথিত বৈবাহিক ধর্ষণের ধারণার অনুপ্রবেশ না ঘটানো।
৬. মিথ্যা ধর্ষণ মামলা প্রমাণিত হলে মামলাকারীর বিরোদ্ধে কঠিন শাস্তির বিধান থাকতে হবে। (ধর্ষকের সমমান শাস্তির বিধান করতে হবে)।
৭. যৌতুক সংক্রান্ত মামলায় সমন বা গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যুর পূর্বে তদন্ত প্রতিবেদন বাধ্যতামূলক করা।
৮. পুরুষের লিঙ্গ কর্তন বা অন্য কোনও উপায়ে  কোনও পুরুষকে পুরুষত্বহীন করার শাস্তি মৃত্যুদন্ড করতে হবে।
৯. বহুবিবাহ প্রতারণারোধে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি ডিজিটাল করা।
১০. পুরুষের মানবাধিকার রক্ষা ও পুরুষ নির্যাতন রোধে আইন চাই।
১১. বহুবিবাহ প্রতারণা রোদে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি ডিজিটাল করা।
১২. কাবিন বানিজ্যরোধে সাধ্যের অতিরিক্ত কাবিন জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না, বিধান থাকতে হবে।
১৩. ব্যভিচারের ৪৯৭ ধারা কে সংশোধন করে পরকীয়ায় আসক্ত নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য সমান শাস্তির বিধান থাকতে হবে।
১৪. পুরুষ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থাকতে হবে।
১৪দফা দাবী প্রস্থাপনার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published.

error: Content is protected !!