একটি মামলায় মিথ্যা আসামী হওয়ার অভিযোগে কারাগারে যেতে হয়েছে এক শিক্ষককে।তারই প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন হাতিয়ায় প্রাথমিক শিক্ষক পরিবার।সোমবার(১১ আগস্ট)সকাল দশটায় উপজেলার প্রধান সড়কে হাতিয়া থানার সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে হাতিয়া প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,হাতিয়া উপজেলার নলচিরা ছিদ্দিকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক জসীম উদ্দিনকে মিথ্যা হয়রানি মূলক মামলার অভিযোগে আটক করা হয়েছে।প্রকৃত পক্ষে শিক্ষক জসীম উদ্দিন মামলায় অভিযুক্ত সেই জসীম উদ্দিন নয়।শিক্ষক জসীম উদ্দিন ১৯৯১ সালে এসএসসি পাশ করে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন।কিন্তু ১৯৯১ সালে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানায় জসীম উদ্দিন প্রকাশ দেলু,প্রকাশ তেলু নামীয় এক ব্যক্তিকে মামলার আসামী করা হয়েছে।
মামলার আসামী করা ব্যক্তির নাম ঠিকানা ও পিতার নাম কাকতালীয় ভাবে শিক্ষক জমীমের নামে মিলে যাওয়ার তাকে আটক করা হয়েছে।যা কোন অবস্থায় কাম্য নয়। যথাযথ তথ্য উদঘাটন করে প্রকৃত আসামীকে সনাক্ত করার দাবি করেন বক্তরা।
হাতিয়া মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আনম হাসান বলেন, একজন শিক্ষকের প্রতি এমন অন্যায় আচরণ শুধু ব্যক্তিগত ক্ষতি নয় বরং শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি আস্থার সঙ্কট তৈরী করে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে তথ্য যাচাই করে দায়িত্বশীলতার সাথে পদক্ষেপ নেওয়ার আবহবান জানান তিনি।
শিক্ষক জসীমের পরিবারের স্বজন নাসির উদ্দিন ঝন্টু বলেন,বিগত ত্রিশ বছর যাবত তিনি হাতিয়াতেই বসবাস করছেন এবং কখনই পলাতক ছিলেন না। সব সময় তিনি স্কুলে চাকরি করে আসছেন।কিন্তু কিভাবে তাকে এ মামলায় দীর্ঘদিন পলাতক দেখিয়ে আটক করা হল তা বোধগম্য নয়।
এ বিষয়ে হাতিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ একেএম আজমল হুদা বলেন, মানববন্ধন যে কেউ করতেই পারে। কিন্তু আমরা যে ওয়ারেন্ট এ আসামীর নাম ঠিকানা পেয়েছি তা যাচাই বাছাই করে উনাকে সনাক্ত করেছি। উনিই গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামী।